শ্রীমঙ্গলে মা-মেয়ে জোড়া খুনের রহস্য উন্মোচন,আটক-১

    0
    250

    নিজস্ব প্রতিনিধি:  শ্রীমঙ্গলে গভীর রাতে জায়েদা বেগম (৫৫) ও ইয়াসমিন (২৪) মা ও মেয়ের মর্মান্তিক খুনের ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে প্রথমে সন্দেহমূলক খুনি হিসেবে জামাতা আজগরকে আটক করে পুলিশ।পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজগর খুন করার কথা স্বীকার করেছেন।

    জানা যায়, আশিদ্রোন ইউনিয়নের পূর্ব জামসী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঘরের পিছনের বেড়া ভেঙ্গে প্রবেশ করে নির্মমভাবে মা ও ২ শিশু সন্তানের জননী মেয়েকে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী আজগর আলীকে তার নিজ এলাকা সিন্দুরখান ইউনিয়নের তালতলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একটি টিম।

    এ ব্যাপারে সিনিয়র এএসপি আশরাফুজ্জামান আশিক আমার সিলেটকে বলেন, “ঘটনার দিন মাননীয় পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ স্যার পিপিএমসহ আমি ও শ্রীমঙ্গল থানার কর্মকর্তা আব্দুস ছালিক এবং পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরিদর্শন করি। এসপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক অনেকগুলো বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করি। এর মধ্যে প্রধান টার্গেট ছিল নিহত ইয়াসমিনের সাবেক স্বামী। যেহেতু ১৫ মাস ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। সেহেতু তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এক পর্যায়ে সিন্দুরখান এলাকা থেকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার মধ্যে একটি অপরাধের অনুশোচনা কাজ করে, এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে সে নিজেই খুন করেছে। কিভাবে খুন করেছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, চুলায় আগুন জ্বালাতে ব্যবহৃত লোহার পাতলা চুঙ্গার দাঁড়ালো মাথা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মা ও মেয়েকে খুন করে। এ সময় প্রথমে মাকে এবং পরে মেয়েকে খুন করে বলে স্বীকার করে। তার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এসপি স্যারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।অপরাধীদের কোনো ছাড় নেই।”
    উল্লেখ্য নিজ ঘরে খুন হওয়া মা ও মেয়ের দুটি লাশ এর মধ্যে প্রথমে মাকে খুন করা হয় এবং পরে মেয়েকে। রাতে খুন হলেও পরদিন শুক্রবার সকালে এলাকাবাসীর সংবাদে স্থানীয় চেয়ারম্যান জহর বর্ধনসহ পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়। পূর্বের সংবাদেের লিংক দেখুন

    শ্রীমঙ্গলে একই ঘরে মা ও মেয়ের জোড়া খুন !