১৪৫ টাকা মজুরির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে আবারো রাস্তায় চা শ্রমিক

0
297

সিদ্ধান্তের ৩ ঘন্টা পর চা শ্রমিকের একটি অংশ শ্রীমঙ্গল চৌমুহনায় অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের ৩০০ টাকা মজুরির পক্ষে শ্লোগান দেয়।

জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস মোতাবেক চা শ্রমিক নেতারা দাবী মেনে নিয়ে কাজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত শেষে আজই শনিবার ২০ আগস্টের সন্ধ্যা ৭ টায় আবারও আন্দোলনের ঘোষনা দেয় তারা।

১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে চা শ্রমিকদের ১২ দিনের চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে শনিবার বিকেল ৩ টায় শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালকের কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে চা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন। তারা সেখানে সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আমাদের জন্য ১৪৫ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন আমরা তা মেনে নিলাম এবং আজ থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন বলে জানান বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা।
কিন্তু এর তিন ঘন্টা পর রাত ৮ টায় চা শ্রমিকের একাংশের শতাধিক লোক শহরের চৌমুহনা চত্ত্বর অবরোধ করে রাখেন।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন,১৪৫ টাকা মজুরির সিদ্ধান্ত মানছেন না চা-শ্রমিকেরা। ১৪৫ টাকা মজুরির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চা-শ্রমিকেরা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১৪৫ টাকা মজুরির আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে,এসময় মোহন রবি দাস নামে একজন চৌমুহনা চত্ত্বরের শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিয়ে ১৪৫ টাকা মজুরি মানিনা বলে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এসময় শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন শ্রমিকদের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করলেও তাতে তারা কর্ণপাত করেন নি।

এসময় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান শ্রীমঙ্গলে একটি প্রোগ্রামে এসেছিলেন তিনিও তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে শ্রমিকরা ওনাকে এড়িয়ে যান। এব্যাপারে চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পালের নিকট জানতে চাইলে বিকেল তিনটার ওই বৈঠকে আপনি সিদ্ধান্ত মেনে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন এখন কেন তারা সড়ক অবরোধ করেছে? তিনি এসময় বলেন আমি ওই বৈঠকে যা বলেছি তা প্রত্যাহার করে নিলাম। শ্রমিকরা ৩০০ টাকার নিচে মজুরি মানে না বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে চা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন,তিনি ওই বৈঠক যা বলেছেন তা প্রত্যাহার করেছেন বলে শ্রমিকদের আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান।
রাত ৯ টার দিকে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনাতে চা শ্রমিকদের একাংশ শ্রীমঙ্গল শহরে চৌমুহনাতে সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।