সৌদির নির্বিচার হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ৫ হাজার

    0
    224

    ইয়েমেনের হুদায়দা প্রদেশে সৌদি আগ্রাসী জোটের ব্যাপক সেনা ও প্রচারণা অভিযান ইয়েমেনি সেনাদের তীব্র বাধার মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে।

    ইয়েমেনের সেনা-সূত্র ও গণবাহিনী বলেছে, অতি-সম্প্রতি হুদায়দার উপকূল ও অন্যান্য অঞ্চলে সৌদি জোটের তিন হাজারেরও বেশি সেনা হতাহত হয়েছে এবং এই জোটের ৩০০’রও বেশি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে ইয়েমেনিরা।

    ইয়েমেনি সেনা-সূত্র আরও বলেছে, আলহুদায়দায় অভিযান চালাতে গিয়ে আগ্রাসী সৌদি ও তার অনুচর সেনারা প্রাণহানি এবং সামরিক সাজ-সরঞ্জামের দিক থেকে এত বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে যে তা তাদের জন্য এক কঠিন শিক্ষা হয়েছে এবং এটা তারা কখনও ভুলবে না।

    আলহুদায়দা বন্দর দখল নিয়ে পরস্পর-বিরোধী নানা খবর এলেও গত বুধবার ফরাসি বার্তা সংস্থার এক খবরে বলা হয়েছে সৌদি জোটের কমান্ডাররা হুদায়দা বন্দর দখলের অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ইয়েমেনের বিপ্লবী সরকারের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কমিটি বলেছে, হুদায়দা বন্দর ও শহর অঞ্চলে আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রয়েছে।

    হুদায়দা অঞ্চল দখলের সৌদি চেষ্টা বার বার বিপর্যয় ও বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়ায় ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

    সম্প্রতি মার্কিন কর্মকর্তারাও ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন সরকার এখন এটা বুঝতে পারছে যে ইয়েমেনে সৌদি জোটের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই সামরিক পথ ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক পথে ইয়েমেনের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য শান্তিকামিতার প্রচারণা শুরু করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্য।

    কিন্তু ইয়েমেনের বিপ্লবী সরকার ও জনগণ সামরিক ক্ষেত্রের মত রাজনৈতিক ময়দানেও আপোষ করতে প্রস্তুত নয়, বরং সব ক্ষেত্রেই তারা প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ। প্রতিরোধের মাধ্যমেই তারা সৌদি জোটকে যুদ্ধ-অবসানে বাধ্য করতে চায়।  ইয়েমেনে যুদ্ধ-অবসানের জন্য আবারও শান্তি-আলোচনা শুরু হবে -সেটাই এখন  বিশ্ব-জনমতের প্রত্যাশা।

    সৌদি জোট ইয়েমেনে হামলা শুরু করে ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ। আগ্রাসীদের নির্বিচার হামলায় ইয়েমেনের নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।