সাভারে ২৩০ লাশ উদ্ধার : আজ জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে

    0
    429

    ঢাকা, ২৫ এপ্রিল : রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি নয়তলা ভবন ধসের ঘটনায় ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হতাহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। বুধবার জাতীয় সংসদে আজকের শোক পালনে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতীয় শোক পালন করা হলেও ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। অফিস আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
    এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, বৃহস্পতিবার সব সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হবে।

    সাভারে ১৬৪ লাশ উদ্ধার : আজ জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে
    সাভারে ১৬৪ লাশ উদ্ধার : আজ জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে

    ধসে পড়া ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত অন্তত ২৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত এক হাজার লোক পোষাক শ্রমিক আহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
    ভবন ধসে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতি

    সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে রানা প্লাজায় আটতলা ভবনে তিনটি গার্মেন্টস ধ্বসে এখন পর্যন্ত ২৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ভয়াবহ এই দূর্ঘটনায় এ পর্যন্ত আহত উদ্ধার হয়েছে অনেক এবং ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়া সকল শ্রমিকদের উদ্ধার করা এখনও হয়নি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক।

    সাভারে ১৬৪ লাশ উদ্ধার : আজ জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে
    সাভারে ১৬৪ লাশ উদ্ধার : আজ জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে

    বিবৃতিতে তারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি গার্মেন্টস মালিকের আইনের প্রতি চরম উন্নাসিকতা ও দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। ধসে পড়া ভবনটি পূর্বেই পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়ে থাকলে ভবনস্থ গার্মেন্টস মালিকরা কিভাবে তাদের ফ্যাক্টরী চালানোর ব্যবস্থা করল? স্থানীয় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন কিভাবে এটা অনুমোদন করল? বিবৃতিতে তারা ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পরেও প্যানরম সোয়েটার, নিউওয়ে বাটন গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের জোর পূর্বক কারখানা চালু রাখা এবং স্থানীয় দায়িত্বশীল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও একই সাথে গার্মেন্টস মালিককে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এই সাথে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের উন্নত চিকিৎসা, ভবনে আটকে পরা শ্রমিকদের দ্রুত নিরাপদ উদ্ধারের আহ্বান জানান।