সরকার পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছেঃমির্জা ফখরুল

    0
    289

    বর্তমান সরকার দেশকে দুর্যোগ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একদিকে রোহিঙ্গা অন্যদিকে ভারতের মুসলমানদের পুশইন। এ সমস্যাগুলোর কারণে বাংলাদেশকে গিনিপিগের মতো পরীক্ষাগার গড়ে তুলছে সরকার।

    শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    দেশকে পরাধীন করে রাখতে বর্তমান সরকার পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের এনআরসি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকারক হচ্ছে, ধর্মের নামে ভারত তাদের জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে। ভারতীয় মুসলমানদের বাংলাদেশের সীমানা দিয়ে পুশইন করছে।  আর তখন সরকার বলছে এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছে, ভারত থেকে আসা নাগরিকদের গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

    বর্তমান সময়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

    তিনি বলেন, জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতার মূল চেতনাকে গড়ে তোলার জন্য। সেই লড়াই জাসদ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, ঠিক একই কথা স্বাধীনতার ৪০ বছর পর এসেও বলতে হচ্ছে যে, আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক গভীর সংকট চলছে সেই সংকট সমাধানের জন্য জনগণের অভ্যুত্থান বা জনগণের আন্দোলন ছাড়া কখনোই সম্ভব নয়।

    মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এখন খালেদা জিয়া যিনি আইনগত জামিন পাওয়ার যোগ্য কিন্তু তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসেছে তারা জানে, বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের যে রাজনৈতিক নীলনকশা সেটা তারা পরিপূর্ণ করতে পারবে না।

    নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনরাই বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা তাদের নাই। তারপরও তারা নির্বাচন দিচ্ছেন। যাকে মানুষ নাম দিয়েছে ‘হাইব্রিড রেজিম’। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ক্ষমতা এই কমিশনের নেই।

    তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে, কিন্তু সরকারের ভোট ডাকাতির জন্য তা করতে ব্যর্থ হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তি এক হলে কোনো স্বৈরতান্ত্রিক সরকার টিকবে না। তাই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

    জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক এবং গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোহসীন রশিদ, বিকল্প ধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জেএসডির যুগ্ম-সম্পাদক শহীদউদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্প ধারার সভাপতি নুরুল আমীন বেপারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।পার্সটুডে