শ্রীমঙ্গল হাওড়ে ধান কাটলেন ইউএনও, এসিল্যান্ড ও কৃষি কর্মকর্তাসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক

0
910
শ্রীমঙ্গল হাওড়ে ধান কাটলেন ইউএনও এসিল্যান্ড ও কৃষি কর্মকর্তাসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক
শ্রীমঙ্গল হাওড়ে ধান কাটলেন ইউএনও এসিল্যান্ড ও কৃষি কর্মকর্তাসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক


চলতি সপ্তাহে সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া সুত্রে জানা গেছে।


শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে পাহাড়ি পানি নেমে হাওর অঞ্চলে বন্যার সম্ভাবনা থাকায় কৃষকদের জমির ধান কেটে সহযোগিতা করতে মাঠে নেমেছে স্বেচ্ছাসেবকরা। আর এই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে দেওয়া ইউএনও এর আহবানে সারা দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও কৃষকরা প্রখর রোদ উপেক্ষা করে কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছ
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ৫ নং কালাপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের হাইল হাওর সংলগ্ন ধানের জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ইউএনও এর নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক মানুষ হাতে কাস্তে নিয়ে ধান কাটছে। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে তারা একের পর এক কৃষকের জমির ধান কেটে দিচ্ছেন। ইউএনও সেই কাজে ফাকি দিচ্ছেন না। টানা দুইঘন্টা নিজে মাঠে থেকে ধান কেটে চলেছেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেছার উদ্দীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি প্রমুখ।


উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ মৌসুমে উপজেলার ৯ হাজার ৬ শত ৫২ হেক্টর জমিতে বুরে‌্যা ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাওর অঞ্চলের নিচু জায়গায় ৩ হাজার ৭ শত ২৭ হেক্টর জমি রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়ার সুত্রে চলতি সপ্তাহে সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও হাওর অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে আমাদের হাওর অঞ্চলের ধান প্রায় ৮০ থেকে ১০০ ভাগ পেকে গেছে। হঠাৎ যদি ভারী বৃষ্টিপাত হয় তাহলে এই পাকা ধানগুলো পানির নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের সাথে আলোচনা করে সীদ্ধান্ত নিলাম আমরা যদি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কৃষদের কাছে গিয়ে এই ধানগুলো কেটে দিয়ে আসি তাহলে তাদের অনেক উপকার হবে।

এরপর বুধবার আমরা উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার জন্য। বিভিন্ন সংগঠন ও আমাদের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজ থেকেই এখানে চলে এসেছেন। স্থানীয় কৃষকরাও এসেছেন। আমরা সবাই মিলে ধান কাটা শুরু করি। এভাবে আগামী কয়েকদিন একেক জায়গায় আমাদের এই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা চলবে। আগামীকাল শুক্রবারও (২৩ এপ্রিল) আমাদের স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার উদ্যোগ রয়েছে।