শ্রীমঙ্গল লছনায় চা শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বাঁশ বেঁধে তিন ঘন্টা অবরোধ

0
223

জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ শ্রীমঙ্গলের লচনা নামক এলাকার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে চা-শ্রমিকরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকেরা।

চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন আজ বুধবার ২৪ আগস্ট এ ১৬ দিন হলো।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঢাকা–সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে চা–শ্রমিকদের বিক্ষোভ।

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান ধর্মঘটের ১৫তম দিনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা-শ্রমিকেরা।

আজ বুধবার বেলা ১ টা থেকে ৩ টা থেকে উপজেলার সাতগাঁও লছনা চা–বাগানের চা কারখানার সামনের মহাসড়কে তাঁরা অবস্থান নেন শ্রমিকরা।

কর্মসূচিতে সাতগাঁও, দিনারপুর, মির্জাপুর, বৌলাছড়া, বৌলাশী, ক্লোনেল, সাইফ, ইছামতি, মাকড়িছড়াসহ বিভিন্ন চা–বাগানের হাজারের বেশি শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। আজ শ্রীমঙ্গলের ৩৯টি চা–বাগানে কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। এদিকে সকালে জেরিন চা–বাগানে কাজ শুরু হলেও পরে তাঁরা কাজ বন্ধ করে ফিরে যায় বস্তিতে।
বেলা ১ টার দিকে সাতগাঁও চা–বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, চা-শ্রমিকেরা বাগানের নাটমন্দিরের সামনে মহাসড়কে বসে পড়ে কয়েক শত নারী চা শ্রমিকরা। চলমান চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবী তাদের মজুরি বিষয়ে একটা সমাধান দিক।

সাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চা-শ্রমিক শান্তনা বাড়াইক বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে ১৬ দিন ধরে আন্দোলন করছি। ১২০ টাকায় খাওয়া দাওয়া,কিছুই হয় না। বিভিন্নজন এসে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি আমাদের কাজ করতে বলেছেন। তিনি নাকি বিদেশ থেকে ফিরে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। ডিজিটাল দেশে সরকারের প্রতিনিধির কাছ থেকে মিথ্যা কথা শুনতে হচ্ছে। আমরা টেলিভিশনে দেখছি, প্রধানমন্ত্রী দেশে। তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে মিথ্যা বলা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনে কাজে ফিরব। তিনি একটা ঘোষণা দিলেই শ্রমিকেরা কাজে ফিরবেন।’

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম-উর রশিদ তালুকদার, সাতগাঁও ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মিলন শীল। শ্রমিকদের অনুরোধ করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।