শ্রীমঙ্গলে রেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক অপরাধে লক্ষ টাকা জরিমানা:১০ নারী পুরুষ আটক

0
320

নিজস্ব প্রতিনিধি,আমার সিলেট রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেস্ট হাউসে (রিসোর্ট) অনৈতিক কাজের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্স না থাকায় এবং তা প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায় বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল সোমবার নবাগত জেলা প্রশাসক ড. উর্মী বিনতে সালাম’র সাথে এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইছুব আলীর করা অভিযোগের পর শ্রীমঙ্গলে ২৪ ঘন্টায় দুটি অভিযান পরিচালিত হলো।

এর মধ্যে গতকাল বিকালে স্টেশন ফুটপাত দখলমুক্ত করতে শ্রীমঙ্গল পুলিশের একটি অভিযান পরিচালিত হয়।
অপরদিকে আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে শহরের ভানুগাছ রোডস্থ মুনস ড্রীম রেস্ট হাউজে অভিযান পরিচালনা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এতে অনৈতিক কাজে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়ার অপরাধে রেস্ট হাউজের ম্যানেজার ও পরিচালককে এ জরিমানা তো হয়।
শহরের ভানুগাছ রোডস্থ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এই রেস্ট হাউজে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন।
অভিযানে সহযোগিতা করেন স্থানীয় থানা পুলিশ প্রশাসনের এসআই সজীব চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল।

অভিযান কালে রেস্ট হাউজের ভেতরে অনৈতিক (অসামাজিক) কাজে জড়িত থাকার অপরাধে ১০ নারী-পুরুষকে হাতে নাতে আটক করা হয়।
পরে রেস্ট হাউজের পরিচালক সূর্য ও ম্যানেজার আব্দুল্লাহকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে রেস্ট হাউজ পরিচালনার প্রয়োজনীয় দলিল পত্রাদী না পাওয়ায় রেস্ট হাউজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়দের ভাষ্য মতে,এই রেস্ট হাউজে দীর্ঘ দিন ধরে অনৈতিক কাজ চলে আসছে। এতে শহরের স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কথিত প্রেমিক-প্রেমিকার ছদ্মবেশে নির্বিঘ্নে অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে বলে স্হানীয়রা জানান। অবৈধ কাজের অভিযোগে বার বার অভিযান পরিচালনা করা হলেও হেন কাজ বন্ধ করেনি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের কিছু রিসোর্ট শহরের ভিতরে এবং বাহিরে রয়েছে যারা নানা রকম ছদ্মবেশে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এই অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ভালো মানের রিসোর্ট গুলোর ও মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।আজকের এই অভিযানকে এলাকার লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছে বলেন, উপজেলা কর্মকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এ ধরনের অভিযান সাপ্তাহিক প্রত্যেকটি রিসোর্টে করা প্রয়োজন। সম্প্রতি রিসোর্ট ব্যবসাকে জায়েজ করার জন্য কিছু লোক সাংবাদিকতা, মানবাধিকার,রাজনৈতিক আশ্রয় নিচ্ছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এক ব্যক্তি বলেন মধ্যে মধ্যে অভিযান হয় বলে আমরা শুনেছি। আজ আমরা বড় ধরনের অভিযান হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি। এজন্য অভিযান পরিচালনাকারীদের ধন্যবাদ ধন্যবাদ জানান।
এব্যাপারে এসআই সজিব চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি পুলিশের একটি টিম সহ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানান।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলি রাজিব মাহমুদ মিঠুন অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন”অভিযোগ পেলে যে কোন রিসোর্টে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন শ্রীমঙ্গল একটি পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার এলাকা হিসাবে এর শৃঙ্খলা এবং নৈতিকতা বোধ রক্ষার্থে স্থানীয়রাসহ প্রশাসনের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং নবাগত জেলা প্রশাসক ড. উর্মী বিনতে সালাম মহোদয়ের ও একই প্রত্যাশা বলে জানান তিনি।