শ্রীমঙ্গলে পরকীয়ার জেরে পাহারাদারের হাতে পাহারাদার খুন! কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে খুনি

0
188

নিজস্ব প্রতিনিধি,আমার সিলেট রিপোর্টঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকায় পরকীয়ার জের ধরে লেবু বাগানে কর্মরত এক পাহারাদারের হাতে অপর পাহারাদার খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে পুলিশ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পলাতক অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তবে তার বোবা স্ত্রী পালিয়েছে।

খুন হওয়া ব্যক্তির নাম চম্পা লাল মুন্ডা (৩৭) পিতা মৃত রামজি মুন্ডা।তার গ্রামের বাড়ী কমলগঞ্জের পদ্মছড়া চা বাগানে।কাজের সুবাদে বাগান এলাকায় বসবাস করতেন।

পুলিশ ও স্হানিয় সুত্রে জানা যায়,আজ রোববার ভোরের কোন এক সময়ে মারাক্তক আহত চম্পা লাল মুন্ডাকে স্থানীয়রা সকালে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। তার শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন ও বাম কপালে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

আরো জানা যায়,মৃত্যু ঘটার সাথে সাথে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেন।ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ডদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই তিথঙ্করসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে গেলে সেখান থেকে ঘটনার আলামতের সূত্র ধরে কমলগগ্জের পাথরখলা বাগানের ভারতীয় সীমান্ত থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক বিশ্বনাথ তাতী (৪৫) নামে একই লেবু বাগানের অপর পাহারাদারকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ী হোসনাবাদ চা বাগানে। সে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।এ সময় ঘরে থাকা তার বোবা স্ত্রী ও পালিয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনার পিছনে পরকীয়া জনিত অপরাধ লুকিয়ে আছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে বিভিন্ন গোপন সংবাদের সূত্র ধরে পালিয়ে যাওয়া বিশ্বনাথকে ভারতীয় সীমান্ত থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে, এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন খুন হওয়া ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য থাকায় ঘটনাটি পরকীয়া জনিত কারণের দিকেই এগুচ্ছে। হত্যাকারী ও এমনটি ইঙ্গিত দিচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন মামলা রুযুর পর ১৬৪ ধারা জবানবন্দি ও অন্যান্য তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।