শ্রীমঙ্গলে “টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট”র গ্রাহক সেবা সম্পর্কিত “মিট দ্যা প্রেস” অনুষ্টিত

0
449

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ভানুগাছ রোডস্থ “টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট” এর গ্রাহক সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন পদ্ধতি ও সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ “মিট দ্যা প্রেস” রেস্টুরেন্টের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও বিস্তারিত বর্ণনা করেন টি ভ্যালী রেস্টুরেন্টের পরিচালক এম এ রকিব,বক্তব্য রাখেন অপর পরিচালক মীর এম এ সালাম ও আব্দুল বাসিদ।

বক্তব্য রাখছেন মীর এম এ সালাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী । উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি আনিসুল ইসলাম আশরাফী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাউসার ইকবাল ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ,সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইমাম হোসেন সোহেল। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি বিকুল চক্রবর্তী,শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি আব্দুল মজিদসহ বিভিন্ন মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত সংবাদ কর্মীবৃন্দ।

“টি ভ্যালী” রেস্টুরেন্ট এর পরিচালক রাকিবুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যের সারাংশে বলেন,”সারা দেশের মধ্যেই শ্রীমঙ্গলের আলাদা একটা পরিচিতি বহন করে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলকে বলা হয়ে থাকে চায়ের রাজধানী খ্যাত দেশের অন্যতম পর্যটক নগরী।
শ্রীমঙ্গলে রয়েছে প্রকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরুপ লীলাভূমি।
এছাড়া এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি সামাজিক ও ধর্মিয় মূল্যবোধ ছাড়াও দেশের অন্য যে কোন এলাকা থেকে এখানকার সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে রয়েছে সম্প্রীতির এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত।

তিনি আরও বলেন,আমরা বিজয়ের মাসজুড়ে “টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট” বিশেষ বিশেষ খাবারের অফার চালু করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমাদের “টি ভ্যালী বাজার’টিও স্বল্প সময়ের মধ্যেই চালু করতে পারবো “ইনশাআল্লাহ” এবং সেখানেও নিত্যপণ্যের বাজার-সদাই করলে স্পেশাল ডিসকাউন্ট থাকবে ।
আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসিকে জানিয়ে দিতে চাই যারা কর্পোরেট ট্যুরে চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গল ভ্রমন করতে আসবেন তারা অগ্রিম বুকিং দিলেই পেয়ে যাবে সেই কাঙ্খিত বিশেষ অফারটি। আর যারা বুকিং ছাড়া শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসবেন তাদেরকে অনুরোধ করবো আমাদের ‘‘টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট” এর খাবারের স্বাদ গ্রহন করতে।
আমরা গতানুগতিক ধারাবাহিকতাকে অতিক্রম করে নিরিবিলি পরিবেশে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনে সর্বদা অঙ্গিকারবদ্ধ।

শ্রীমঙ্গলে “টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট”র রাতের চিত্র।

তিনি আরো বলেন,আমাদের রয়েছে সুবিশাল এসি ফ্যামিলি/পার্টি হল, অফেন ডাইনিং স্পেস, সাধারন হলরুমসহ নিজস্ব গাড়ি পার্কিং এর সুবিধা।
আপনারা জেনে খুবি হবেন ‘টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট’ এর শীতকালীন বিশেষ আকর্ষন হচ্ছে প্রতিদিন সিদ্ধ রুটির সাথে হাঁসের মাংস, খাসির পায়া, চিকেন স্যুপের পাশাপাশি পোলাওয়ের সাথে পাবেন খাসির মাংসের স্পেশাল কোরমা।
এছাড়াও আমাদের নিয়মিত চিকেন বিরিয়ানী, মাটন বিরিয়ানীসহ সাদা ভাতের সাথে লোকাল মাছ-মাংস, রকমারী ভর্তা-ভাজি’তো আছেই। আছে কাচ্চি বিরিয়ানীও।
সকালের নাস্তায় স্পেশাল খিচুরি, তেহারী, বিরিয়ানী, পরটা সাথে খাসির পায়া,খাসির কলিজা, ডাল-সবজি, ডিম মামলেট। বিকালের নাস্তায় নান-পরটা’র সাথে, গ্রিল, চাপ, চিকেন ও মাটন বডি কাবাব, ডাল-চায়নিজ সবজি, খাসির কলিজাসহ লোকাল গরুর দুধের স্পেশাল চা।

তিনি বলেন,আমরা আমাদের প্রতিষ্টানটিকে ইতিমধ্যে গুগলে এডস করেছি এখন থেকে যে কেউ যেকোন জায়গা থেকে গুগলে সার্চ করে আমাদের লোকেশন বের করতে পারবে। এছাড়া প্রমোট করার চিন্তাও রয়েছে। যাতে পর্যটকরা খুব সহজে একটা ধারনা পেতে পারেন যে এখানে ভাল মানের খাবারের ব্যবস্থা এবং পরিবেশ রয়েছে।
খাবারের মান এবং স্বাদ ঠিক রাখা বিষয়ে বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, সেটা হচ্ছে কোন অবস্থাতেই খাবারের মান এবং স্বাদে আপোষ আমরা করবো না। নির্ভেজাল খাবার পরিবেশনের প্রতি সব সময় যত্নশীল থাকবো। ইনশাআল্লাহ। খাবারের স্বাদ ও মানের দিকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া কোন অবস্থাতেই আমরা বাসী খাবার পরিবেশন করব না। এটা আমাদের অঙ্গিকার।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং লাউডলি কথা না বলা,মিথ্যার আশ্রয় না নেয়া যেমন-আমাদের স্টাফদের কঠিন নির্দেশনা দেয়া আছে যে,পর্যটকসহ সকল কাস্টমারদের সাথে যেন কোন অবস্থাতেই তারা মিথ্যা কথা বলা বা মিথ্যার আশ্রয় না নেয়। প্রয়োজনে বলতে হবে বোয়াল মাছের কারী দুইটা হবে একটা ২৫০ টাকা অন্যটা ৩৫০ টাকা। কোন অবস্থাতেই পাঙ্গাস মাছকে বোয়াল বলা যাবে না। আবার পাঙ্গাস মাছের ভর্তাকে কোন ভাবেই টাকি মাছের ভর্তা বলা যাবে না।
রেস্টুরেন্টের রুফটপে বসার ব্যবস্থা রাখা

টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট এর উপর তলার সম্মুখভাগ।

অনেকেই আবদ্ধ জায়গায় খাবার খেতে পছন্দ করেন না, আর তাদের কথা মাথায় রেখে আমরা রেস্টুরেন্টের বাহিরে বা রুফটপে বসার এবং খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যদিও আমাদের গার্ডেনিংয়ের কাজ বাকী রয়েছে। আমরা আশা করছি বাহিরের অফেন ডাইনিংয়ে চতুরদিকে সুন্দর একটা সবুজ গাছের বাগান রেডি করতে পারবো। যাতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে প্রাকৃতিক পরিবেশ মনে করে খাবার-দাবার করতে পারেন।
আমরা রেস্টুরেন্টর অফেন ডাইনিং স্পেসের পাশেই সুন্দর একটা নামাজের ঘর রেখেছি। যাতে সময়মতো মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারেন।
বাচ্চাদের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করবো।
রেস্টুরেন্টের ২য় তলায় সেমিনার বা পার্টির জন্য রিজার্ভেশন সিস্টেম আমরা করেছি। এখানে বিয়ে, ওয়ালিমা, বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিন, সভা/সেমিনারসহ যে কোন প্রাইভেট অনুষ্টান যে কেউ চাইলেই করতে পারবে।

প্রতিনিয়তই মানুষ চায় একটু ভিন্নতা, তাই আমাদের চিন্তা সপ্তাহে একদিন হলেও ৫/৭টা আইটেম দিয়ে বুফে সিস্টেম বা প্যাকেজ ঘোষনা করার। এটি করতে হয়ত আমাদের কিছু দিন সময় লাগবে। তবে আমরা ইতিমধ্যে ৩/৪টা আইটেম দিয়ে প্যাকেজ আমাদের মেনুতে সেট করে দিয়েছি। আমরা আশা করছি আপনাদের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা হলে এই অফারটি মিস করতে চাইবে না অনেকেই।
ফ্রি ওয়াইফাই ফ্যাসিলিট সম্পর্কে বলে, আজ কালকার দিনে নেট ছাড়া যেন মানুষ থাকতেই পারে না, তাই আমাদের ২য় তলায় রেস্টুরেন্টে ফ্রি ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা রাখার চিন্তাও আমাদের রয়েছে।
ফটোশুটিং ফ্যাসিলিটি
কমপ্লেইন/রিভিউ বক্স রাখা সংক্রানত বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি রেস্টুরেন্টে কাস্টমারদের জন্য কমপ্লেইন বা অভিযোগ/রিভিউ বক্স রাখার। যাতে আমাদের গ্রাহকদের মতামত আমরা জানতে পারি এবং কোন ত্রুটি থাকলে আমরা সাথে সাথে সংশোধনে যেতে পারি।
সবসময় কিছু ভিন্ন মাত্রা যোগ করা প্রসঙ্গে বলেন,
আমরা সবসময় চেষ্টা করবো পর্যটকসহ স্থানীয় ভোজন বিলাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণে ভিন্ন কিছু বা টি ভ্যালী স্পেশাল কিছু করার। আমরা গতানুগতিক ভাবে অন্য ৮/১০টা রেস্টুরেন্টের মত না থেকে প্রতিনিয়ত’ই চাইব আপডেট কিছু উপহার দেয়া।

মিট দ্য প্রেসে উপস্থিতির একাংশ।


কাস্টমাররা সবসময় ঠিক এটা মেনে নেওয়া এই নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

আমরা আমাদের স্টাফদের বলে রেখেছি, কাস্টমার অলওয়েজ রাইট বা সব সময় ঠিক এই মন মানসিকতা যেন আমাদের থাকে। কোন অবস্থাতেই পর্যটক বা গেস্টদের সাথে তর্কে জড়ানো যাবে না। তাদেরকে ঠিক ধরে নিয়েই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমরা নিব।

রেস্টুরেন্টে আগত সকল গেস্ট/টুরিস্টদের বা ক্রেতাদের খাওয়া-দাওয়া শেষে খাবারের মান এবং স্টাফদের ব্যবহার সম্পর্কে অবশ্যই তাদের মতামত নিতে আমাদের সুপারভাইজারদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আমাদের রেস্টুরেন্ট পার্সেল এর সু-ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আমাদের যেকোন খাবার অনলাইন এবং মোবাইল ফোনের অর্ডারের করতে পারবেন, যাতে অর্ডারকারী ব্যাক্তি এসেই তার ফুডটি পার্সেল নিতে পারেন। এতে সময় সাশ্রয় হবে। এছাড়া আমাদের ভাবনায় আছে যেকোন খাবারসমূহ হোম ডেলিভারি করার। এটা হয়ত আমাদের আরো কিছুদিন সময় লাগবে, আমাদের ওয়েবসাইড ডেভলাপ করেই আমরা এটা চালু করতে পারব। এছাড়া ব্যাংক, বীমাসহ যে কোন অফিসে স্পেশাল লাঞ্চ প্যাক সরবরাহের ব্যবস্থা রাখারও চিন্তা আমাদের রয়েছে।
অহংকারী না হয়ে কাস্টমারকে সম্মান করা সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন,

উপর থেকে টি ভ্যালী রেস্টুরেন্টের দৃশ্য।

রেস্টুরেন্টে কাস্টমার বেড়ে যাওয়া বা ব্যবসার লাভ বাড়ার সাথে সাথে কখনোই যেন কোন স্টাফ অহংকারী না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল থাকবে সর্বদা। সকল কাস্টমারদের সাথেই সম্মান করে কথা বলতে হবে হোক সে ছোট বা বড় কাস্টমার। আমাদের নির্দেশনা রয়েছে, আজ যে শুধু চা খেতে আসবে, কাল কিংবা পর্শু সে লাঞ্চ বা ডিনার করতে আসতে পারে। কাজেই ব্যবহারে কেউ যেন কষ্ট না পায়। এছাড়া কাস্টমারের যে কোন অভিযোগকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখবো ইনশাআল্লাহ।”
পরিশেষে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন পরামর্শ মূলক বক্তব্য শোনেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।