শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যাদেবী সরস্বতী পূজার আয়োজনের শেষে চলছে দিনভর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিক্ষার্থীদের পূজার্চনা।হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতী নামে এক দেবীকে বিদ্যার দেবী হিসেবে পূজা করে থাকে।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের প্রায় ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩ টি মহাবিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাসা-বাড়ি ও আবাসিক এলাকায় সরস্বতী পুজোর ব্যাপক আয়োজন করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাড়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিতও করতে দেখা যায়।
সনাতন শাস্ত্রমতে, প্রতিবছর মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। বিদ্যা দেবীর মুর্তিকে রং-তুলির আঁচড়ে, পোশাক ও অলংকার পরিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হয়। এবছর সরস্বতী পূজার তিথি ২৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিট ১১সেকেন্ডে থেকে শুরু হয়ে ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩৮ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড পর্যন্ত ছিল।
হিন্দুধর্ম মতে, সরস্বতী তাদের বিদ্যাদেবী। হিন্দু শিক্ষার্থীরা দেবীর আশীর্বাদ লাভের আশায় প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী দেবীর পূজা করে থাকেন। এ উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাসা-বাড়িতেও নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী মন্দির। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা উদযাপন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এ পুজোয় যে সমস্ত সামগ্রীগুলো হলোর প্রয়োজন হয়, তা হচ্ছে-জোড়া সিম, জোড়া কুল, অভ্র- আবির, আমের মুকুল,দোয়াত, খাগের কলম, দুধ, দুর্বা, পলাশ ফুল, বই, বাদ্যযন্ত্রাদি বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুলেত মালা, সাদা কাপড়, বেলপাতা, কাঁচা হলুদ, সিঁদুর, চাল ,ধানের শিষ, পাঁচ ধরনের ফল, ফলে কলা ও নারকেল আবশ্যিক। সাথে থাকতে হবে ঘট,পান, সুপারি, ধূপ, প্রদীপ। প্রতি বছরের মতো শ্রীমঙ্গল শহরের সন্ধানী আ/এ, রূপসপুর, শাপলা বাগ এলাকায় প্রতিমা পাওয়া যায়।
এদিকে সরস্বতী দেবীর প্রতিমা বেশি দামে ক্রয় করতে হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।
তবে প্রতিমা শিল্পী বিশ্বনাথ পাল জানান, মূর্তি তৈরির উপকরণ যেমন বাঁশ, কাঠ, ছন ও রং ইত্যাদির দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য বছরের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।