শ্রীমঙ্গলে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিঃপলাতকদের গ্রেফতার প্রচেষ্টা অব্যাহত

0
243

নিজস্ব প্রতিনিধি,আমার সিলেট রিপোর্টঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত (১৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় ২৩ বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে শ্রীমঙ্গল থানায় শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ৫ জনের বিরুদ্বে গণধর্ষণ আইনে একটি মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে নিজেদের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মর্মে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জানা য়ায়,মামলার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে বাকিরা পালিয়ে যায়।ঘটনার মুল হোতা সিএনজি চালক সেলিম,পিতা মতলেব মিয়া,গ্রাম-মতিরগাও,ওসমানী নগর,সিলেট ও অপর সহযোগী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাঝদিহি পাহারের (চা-বাগানের) ৬ নং সেকশনের রাম গোবিন্দ নুনিয়ার পুত্র হৃদয় নুনিয়াকে আটক করে ১৫ এপ্রিল শনিবারে পুলিশ স্কট এর মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করেন ।
বিজ্ঞ আদালতে হৃদয় নুনিয়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন মর্মে পুলিশ সুত্রে জানা যায়।পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

মামলা ও পুলিশের সুত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে কুলাউরা উপজেলার এক যুবতীর ছদ্মনাম হাসি (২৩) তিনি সিলেটের ওসমানী নগর থানার গোয়ালাবাজারে হবু স্বামীর সাথে দেখা করতে গিয়ে পুনরায় কুলাউড়া ফিরে আসার সময় সিএনজি চালকের খপ্পরে পরলে কুলাউড়ার গাড়িতে তুলে দিবে বলে ওই মেয়েকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভৈরবগন্জ বাজারে নিয়ে আসে।ভৈরবগন্জ বাজারে আসলে মাঝদিহি চা বাগানের একটি গ্রপসহ মোট ৫ জন মিলে ভিকটিমকে চা বাগানে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করে। অভিযোগকারী নারী নিজেই।এঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা হয়েছে।মামলা নং-২১ তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২৩।
এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সূত্রে জানা যায়, মাজদিহি পাহাড়ে বেশ কয়েকটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীদের নিয়ে আসে আমোদ ফুর্তি করে যাচ্ছে।এখানে নারী মদ জুয়া এগুলি এভেলেবেল,এদেরকে অনেক ভদ্রলোকেরা ও সহযোগিতা করে থাকে।এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নাম প্রকাশ করলে এলাকায় থাকা রিস্ক হয়ে যাবে।
একদিকে পাহাড়ি এলাকা যোগাযোগের অবস্থা ভালো হওয়ায় কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল থেকে বিভিন্ন রাস্তায় প্রবেশ করা যায়। এই সুবিধাটা নিয়ে অপরাধীরা এখানে আস্তে আস্তে আস্তানা করছে।শুধু নারী নয় মাদক ব্যবসায়ীরাও এই এলাকাটিকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে এখানে কারা পর্যটক আর অনৈতিক বা মাদক ব্যবসায়ী বোঝা মুশকিল। ফলে ৩ উপজেলার মাদক কারবারিরা, জুয়ারীরাও এখানে তৎপর।

গণধর্ষণ মামলার সর্বশেষ বক্তব্যে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান,ঘটনার সংবাদ আমাদের কাছে আসার সাথে সাথেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের সামনে তারা অপরাধের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পলাতক ও এদের সহযোগি এবং এই ঘৃনিত কাজের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।