শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যার মারপিটে প্রতিবন্ধী আহতের অভিযোগ

    0
    232

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬জুলাই,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ শ্রীমঙ্গলে মহিলা মেম্বারের গুরুতর আঘাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে নকুল পাল নামে এক প্রতিবন্ধী যুবক। তাকে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের অধীর পালের ছোট ছেলে নকুল পাল (২২) কে গত ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় তার বাড়িতে ভাত খাওয়া থেকে তোলে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। ১৪ জুলাই শুক্রবার সকাল ৯ টায় ইউপি চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় কে ঘটনা ফোনে বললো কেন ? সেটার সূত্র ধরে আবার নকুলের বাসাতে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারপিট করে মহিলা ইউপি সদস্যা ও তার স্বামী। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মহিলা মেম্বার মালেকা বেগম নকুলকে বেধড়ক মারপিট করে ব্যাটারি চালিত টমটম করে ইউনিয়নে নিয়ে আনেন। তাকে এনে ইউপি পরিষদের একটি কক্ষে তালা মেরে রাখে বলে দাবী করেন নকুলের মা। চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে নকুলের মা ও বউদির মাধ্যমে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি পরে বিচারের মাধ্যমে দেখবেন বলে চেয়ারম্যান তাদেরকে অবহিত করেন।

    জানা যায়, গত বুধবার কোন এক সময় পাশ্ববর্তী এলাকার নিখিল দেব’র কাছে পাওয়া টাকা চাইতে গেলে নকুলের সাথে নিখিলের তর্ক বাঁধে।
    নকুল পালের বউদি শিপ্রা পাল বলেন, ‘পাশ্ববর্তী এলাকার নিখিল দেব’র কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে নকুলের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। মহিলা মেম্বারনী আমাদের ঘরে প্রবেশ করে আমার দেবর কে ভাত খাওয়া থেকে টেনে হেঁছড়ে তোলে নিয়ে খুব আঘাত করে।এসময় মেম্বারনীর সাথে তার স্বামী নানু মিয়া নকুলকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে মারপিট করে।এ সময় আমি তাদের বাঁধা দিতে গেলে আমার গায়ে হাত তুলে। এমন কি আমার শাশুড়ি গায়ে হাত তোলে।’
    মহিলা মেম্বারনী মালেকা বেগমের স্বামী নানু মিয়া আমাদের ঘর থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও আমার গলার স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
    এ ব্যাপারে মহিলা মেম্বার মালেকা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘নকুল কে আমরা কেহ মারপিট করিনি। নকুল পাল এলাকার বদমাশ ছেলে।’
    এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের ডাক্তার মো: সাজ্জাদ চৌধুরী জানান,রোগীর শরীরের বুকে,পিঠে,মাথায়,পায়ে প্রচন্ড আঘাত করা হয়েছে।তার সুস্থ্য হতে সময় লাগতে পারে।
    এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, এই মহিলা ইউপি সদস্যাকে প্রায়ই শ্রীমঙ্গল থানায় রাত অবধি পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে তার মোবাইল (০১৭১৮২৯৮২৮৭) থেকে কল করে এই প্রতিনিধিকে বলেন,আপনি এগুলো খবর নেয়ার কে? তাকে সরকারী প্রকল্পের কাজের তসরুপের  ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি আবারও প্রতিবেদকের তথ্য চাওয়ার বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়ে উল্টো বলেন আপনি প্রকল্পের ব্যাপারে জানার কে ? আপনার জানার থাকলে আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করতে পারেন। চেয়ারম্যান সাহেব আমার সর্ম্পকে অনেক ভাল বলতে পারবেন।

    স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নিখিল দেব’র বাড়িতে গালিগালাজ করার দাবী করে  মহিলা মেম্বারের কাছে নিখিল দেব’র পক্ষ থেকে বিচার প্রার্থি হলে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে একটি সমস্যা হয় বলে দু’ই পক্ষ থেকেই আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে,আমি আগামী সোমবার বিষয়টি মীমাংসার তারিখ দিয়েছি।