শ্রীমঙ্গলে আবাসিক হোটেল থেকে জুয়ার সরঞ্জামসহ পুলিশের হাতে ৮ জুয়াড়ি আটক

0
287

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ আট (৮) জুয়ারিকে জুয়া খেলায়রত অবস্থায় আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
আজ (২৯ এপ্রিল) শনিবার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,অফিসার ইনচার্জ মো.জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এসআই মিয়া নাসির উদ্দিন আহম্মদ ও এসআই রাকিবুল হাছান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২৮ এপ্রিল রাত প্রায় ৩ টার সময় শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনাস্থ ইউনাইডেট আবাসিক হোটেল এর ৫ম তলার দক্ষিণ পাশে একটি রুমের ভিতর অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিসহ ৮ (আট) জুয়ারিকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো কুতুব মিয়া (৪৫),পিতা-মৃত কাপাত উল্লাহ,মাতা-সামছু বেগম, সাং-কাজী বাজার (বেকামোড়া),জনি আহম্মেদ (৩৪), পিতা-আঃ মতিন,মাতা-ছামছুন্নাহার,সাং-কদমহাটা,সায়েদ আহম্মেদ (৫০), পিতা-মৃত আছকর উদ্দিন, মাতা-মৃত সাজেয়া খাতুন,সাং-গাছটিয়া, মোঃ টিপুল মিয়া (২৮),পিতা-এলাছ মিয়া, মাতা-মিনা বেগম, সাং-শাহবন্দর, সর্বথানা-মৌলভীবাজার সদর,জেলা-মৌলভীবাজার,মোঃ মোবারক মিয়া (২৭), পিতা-মৃত বাচ্চু মিয়া, মাতা-রুবিয়া বেগম,সাং-পূর্বাশা (রেলওয়ে কলোনী),শাহ আলম (৩০),পিতা-মাশিদ মিয়া, মাতা-জরিনা বেগম,সাং-কালাপুর,হেলন মিয়া (৩০) পিতা-আঃ হামিদ, মাতা-ছায়া বেগম,সাং-সাইটুলা,মোঃ সুমন (৩৭), পিতা-আতিকুর রহমান, মাতা-লাইলী বেগম, সাং-ভাগলপুর,সর্বথানা-শ্রীমঙ্গল,জেলা-মৌলভীবাজার।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল শহরের ইউনাইডেট আবাসিক হোটেলের ৫ম তলা থেকে ৮ জুয়ারিকে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিসহ আটক করি। উক্ত বিষয়ে জুয়া আইনে একটি মামলা রুজু করে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”

এব্যাপারে ইউনাইটেড হোটেলের স্বত্বাধিকারী সাজু আহমেদ আমারসিলেটকে বলেন, “আমার হোটেলে ম্যানেজার ছিল না এবং দ্বিতীয় ম্যানেজার ও দোকানে ছিল এ সময় হোটেল বয় একজনকে রুম ভাড়া দেয়। সাধারণত কোন বোর্ডার হোটেলে আসলে তার বন্ধুবান্ধবরা দেখা করে আমরা বিষয়টিকে এভাবে সন্দেহ করিনি। পুলিশের অভিযান দেখার পর আমাদের নজরে আসছে। তিনি আরও বলেন,আপনারা জানেন যে আমরা কোন প্রকার অনৈতিক সুযোগ সুবিধা আমাদের হোটেলে দেয়না। এখন থেকে আমাদেরকে হইত আরো কঠোর হতে হবে যাতে করে কোনো সাক্ষাৎকারীরা অনৈতিক সুবিধা না নিতে পারে।”