শ্রীমঙলে “শিতিষ বাবুর চিড়িয়াখানা”ও”বার্ডস হাউজ”

    0
    282

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ফেব্রুয়ারী,সাদেক আহমদ ইমনঃ শ্রীমঙল দক্ষিন রুপসপুরে অবস্থিত ‘শিতিষ বাবুর চিড়িয়াখানা’, কিংবা শ্রীমঙল জালালিয়া রোডে অবস্থিত ‘বার্ডস হাউজ’ এর কথা আমরা  কে না জানি। দুটিই স্থানই শ্রীমঙলের খুব জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র।এই দুটির প্রতিষ্টাতা দুজনই পশু-পাখি প্রেমি।প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় জমায় পশু কিংবা পাখিদের কিচিরমিচির ডাক শোনার জন্য।
    শুধুই কি এই দুজনই পাখি প্রেমিই শ্রীমঙলে আছেন?
    না,এমন হাজারো পাখি প্রেমিক রয়েছে এই শ্রীমঙল তথা পুরো বাংলাদেশে।ক’জন জানি আমরা এমন পাখি প্রেমিকদের কথা? এমনই এক পাখি প্রেমি দম্পতির সন্ধান মিলে শ্রীমঙলে।”এস এম তৌহিদুল ইসলাম এবং রেহানা সুলতানা”।শ্রীমঙল কলেজ রোড বাসিন্দা তারা।থাকেন ৪ তলা একটি ভাড়া বাসায়।
    এস এম তৌহিদুল ইসলাম কুলাউড়া এইচআরসি ক্লিপ্টন চা বাগানের একজন ডেপুটি ম্যানেজার। এবং রেহানা সুলতানা একজন গৃহিণী। দুজনই নিজেদের চাকরি এবং সংসারের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত।তারপর যে সময়টুকু ছুটি পান,সেটা নিজেদের অবসরের জন্য পার করেন না,বরং পাখিদের প্রেমে তাদের পিছনেই ব্যায় করেন সময় টুকু।জায়গার স্বল্পতার জন্য নিজেদের ভাড়াটে বাসার ছাদে পুষে যাচ্ছেন হরেক রকমের পাখি এবং দেশী- বিদেশী অনেক কবুতর। নিজ অর্থে নিজ চেষ্টায় পুষে যাচ্ছেন তিনি এইসব পাখি।চিত্রে প্রথম কলামের  প্রথম কবুতরটির নাম “কিং”।যার মূল্য প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা। দ্বিতীয়টি একটি বাংলাদেশী কবুতর।নাম “সিরাজি “।দাম প্রায় ৪-৫ হাজার টাকা।দ্বিতীয় কলামের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কবুতরের নাম মুখি এবং ফিরলব্যাক।
    কেন চাকরীর পাশাপাশি এ ধরনের পাখি পুষে যাচ্ছেন এই দম্পতি?ইনকামের জন্য,না পাখিদের সত্যিই ভালোবাসেন এই জন্য?এই ব্যাপারে তাদের অনুপস্থিতে তাদের সন্তান এস এম তাহমিদুল আমাদের জানায়-“পাখিদের খুভ ভালোবাসেন তারা।চাকরীর পাশাপাশি কিংবা সংসারের কাজের পাশাপাশি বেশী সময় না পেলেও,যতটুকু পান পাখিদের সেবায় পার করে দেন সেটা।আয়ের জন্য নয় বরং শখ এবং ভালোবাসার জন্যই পাখি পুষে যাচ্ছেন তারা”।
    আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি এখনও অনেক মানুষ আছেন যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন।ভালোবাসেন বৃক্ষ,লতাপাতা, পশুপাখিদের।আর এই সব মানুষ আমাদের দেশেরই সন্তান।তবে এদের অনেকেরই নাম জানেন না কেউ।অনেকেই চিনেন না তাদের।সত্যিকারের প্রকৃতিপ্রেমি হয়েও অনেকেই পড়ে রয়েছেন অন্ধকারের কানাগলিতে।তাদের জন্য কি আমাদের কিছুই করার নেই??কেনই বা কেউ তাদের চিনেন না??এটা কি ওদের দুর্বলতা,না আমাদের না দেখার ভান?
    প্রশ্ন রইল আমাদের প্রত্যেকের বিবেকের কাছে।