শিক্ষক নিয়োগে নারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি

    0
    249

    “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা একধাপ বাড়িয়ে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) করা হয়েছে”

    আমার সিলেট ডেস্ক,২০ আগস্ট : পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকেই কমপক্ষে এইচএসসি পাস নারীরা শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন। এতদিন এসএসসি পাস নারীরা প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করতে পারতেন।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন সোমবার বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-১৯৯১ সংশোধন করে নারী প্রার্থীদের যোগ্যতা বাড়ানো হয়েছে।নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন থেকে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।সংশোধিত বিধিমালায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

    আফছারুল বলেন, পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রাথমিকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিতে পুরুষ প্রার্থীদের থেকে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম ছিল। এখন নারী শিক্ষার হার পুরষদের সমান।শিক্ষক নিয়োগে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস চাওয়া হলেও বেশিরভাগ ডিগ্রি পাস নারীরাই আবেদন করেন। তাই সব কিছু বিবেচনা করে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এক ধাপ বাড়ানো হয়েছে।নারী শিক্ষকরা শিশুদের আদর-স্নেহ দিয়ে পড়াশোনা করাতে পারেন উল্লেখ করে আফছারুল বলেন, এজন্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার স্তর ক্রমান্বয়ে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে শিক্ষার মানও উন্নত করতে হবে। এজন্য যোগ্য শিক্ষক দরকার।নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা একধাপ উন্নীত করা হলেও আগের মতোই স্নাতক পাস পুরুষ প্রার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন।মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত তিনটি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মাত্র শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ এসএসসি পাস প্রার্থী আবেদন করেন। বাকিদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের।

    শুধু নারী প্রার্থীদের আবেদনের যোগ্যতা এসএসসি পাস হওয়ায় সব সহকারি শিক্ষকই এসএসসি স্কেলে বেতন পাচ্ছেন। নিয়োগবিধি সংশোধনের ফলে এখন থেকে প্রাথমিকে শিক্ষকদের এইচএসসি পাসের বেতন স্কেল দেয়া হবে বলেও জানান তারা।গত মাসে ২২ হাজার ৯২৫টি এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের ফলে বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬০ হাজার ৫৯৭টি।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অনুযায়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আগে দেশে ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল।

    আরো দুই ধাপে তিন হাজার ৯১২টি এমপিওভুক্ত রেজিস্ট্রার্ড এবং নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা রয়েছে। এছাড়া পোষ্য প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ এবং বাকী ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত আছে।