শহীদ বুদ্ধিজীবিদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবেঃবীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ

0
233

আমিনুর রশীদ চৌধুরী রুমন,শ্রীমঙ্গল থেকেঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস (১৪ ডিসেম্বর ) উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বীর,মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড.মোঃ আব্দুস শহীদ এম.পি। , বুদ্ধিজীবীদের ইতিহাসের বিষয়ে আলোচনা করে ইতিহাসের নানান তাত্পর্য তুলে ধরে বলেন, নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। এতে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।

বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল পৌর শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মৌলভীবাজার জেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি, চদ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জহর তরফদার ও দেবাশীষ চৌধুরী রাজা’র যৌথ সঞ্চালনায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মাননীয়,সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি, সাবেক চীফ হুইপ বাংলাদেশ জতীয় সংসদ।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ রঞ্জন দেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ সেন তরুন।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ হরিপদ রায়, উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভুমি) সন্ধীপ তালুকদার, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার,শ্রীমঙ্গল প্রেক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাউসার ইকবাল, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক বৃন্দ প্রমুক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো,আব্দুস শহীদ এম পি শহীদ বুদ্ধিজীবিদের উদ্দেশ্য বলেন, “আমাদের কাছে যে সব তথ্য আছে বুদ্ধিজীবি দিবসের, তা হচ্ছে বাংলাদেশে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর (১৯৭১) তারিখ পর্যন্ত শুধু বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিলো ।
এর বিস্তারিত বিবরনে তিনি বলেন, যেমন শহীদ সামসুউদ্দিন সাহেব, ডাঃ লালা সিলেটে হত্যা করা হয়ছিলো। আরো অনেককেই হত্যা করা হয়েছে ।

এই নতুন প্রজন্মকে আমাগামীর ইতিহাস জানতে হবে তারা এই আজকের অনুষ্ঠানে আজ কবিতা আবৃত্তি করেছে, ইতিহাস জানতে এসেছেন, তারা কিন্তু আগামীতে অনেক কিছু করতে পারবেন। আমাদের এখানে ঐতিহ্যবাহী এক মিউজিয়াম এর কথা ও বলা হয়েছে।

উপজেলা কর্মকর্তা সহ অনেকেই বলেছে প্রায় ১,০৭০ জন বুদ্ধিজীবিদের তালিকা উপস্থাপন করা হবে । এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে এই বুদ্ধিজীবিদের বিষয়ক গুলো তৈরি করে রাখা এবং তাদের স্বীকৃতি দেয়া হিসেবে ২০২১ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়ে ছিলো এবং সেই কমিটিতে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাদের অনেকেরই সাথে যোগাযোগ আছে।
তিনি আরো বলেন, যারা বুদ্ধিজীবি হিসেবে শিল্পি হিসেবে, বা সাহিত্যেক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, যাদের সম্পর্ক যারা কবিতা লিখেন এমনকি সংগীত শিল্পি, এ সমস্ত লোক ছিলেন এনারা জাতির জন্য এক মাইলস্টোন ।
এদেরকে হত্যা করার পিছনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লোক ছিলো এদেরকে আবার চেনেননা পাক-হানাদার বাহিনীরা , তবে চেনানোর জন্য তাদের সাথে যুক্ত তেকে নির্মম অত্যাচার করতো আলবদর, রাজাকার বাহিনী। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনৈতির নাম নিয়ে তারা এই আলবদর রাজাকার এর সাথে বসবাস করতো, তাদের প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান, যিনি ছিলেন জামাতের সেক্রেটারি,তিনি সংসদ ভবনে আমার সাথে এমপি হিসেবে ও ছিলেন আমি দেখে ছিলাম উনার মেধা, খুবই কঠিন মেধার মানুষ ছিলেন। এই লোকদের সে দিন সম্ভব হয়েছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা তালিকা গঠন করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্র সংঘের যারা নেতা ছিলেন এখনতো এরা শিবির নামে পরিচিত। আমাদের সময় লগ্নে ইসলামি ছাত্র সংগঠন, সেই ছাত্র সংগঠনের নেতারা এই আলবদর রাজাকার বা অন্যান্য যারা তারা মতিউর রহমান নিজামীর নেতৃত্বে সংগঠন করতো। সংগঠন করার পর তাদের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত হলো বাঙালিদের মধ্যে যদি কোন প্রকার মেধাবী বাঙালি থাকে তাহলে কোন দিন এ দেশ স্বাধীন হবে না।বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পারলেই পাকিস্তান আরো বিশ্বের বহুদেশকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসবে।

এই স্বপ্ন তাদের পূরণ হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধারা সেই সুযোগ দেননি
ইতিহাস জানা প্রতিটা দেশের স্বপ্ন,যারা ইতিহাস জানে তারা বিশ্বের কাছে প্রসংশিত হবে।

পরিশেষে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে তাহলেই কেবল সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব ।