লালাখাল সীমান্তে দিয়ে ১৭টি গরু-মহিষ, মদ, সিগারেটের

    0
    320

    বিনিময়ে সহস্রাধিক গরু-মহিষ বাংলাদেশ বাজারে 

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তের লালাখাল বাগছড়া দিয়ে লাইনের টাকা, মদ, বিড়ি সিগারেট, গরু-মহিষের বিনিময়ে প্রায় সহ¯্রাধীক গরু মহিষ বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করায় চোরাকারবারীরা। সচেতন মহলের দাবী সীমান্তের চোরাচালান কোন ভাবে থেমে নেই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে চোরাচালান। বিজিবি’র চেয়ে শক্তিশালী চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
    এলাকাবাসী ও চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের বিশ্বস্থ সূত্রে যানাযায়, ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হতে সীমান্তেরে অপরে প্রায় সহ¯্রাধীক গরু বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিয়ে আসে। বড় দিন থাকার কারনে ভারতীয় বিএসএফ সর্তক অবস্থানে থাকায় সীমান্তে কিছুটা বন্ধ থাকার কারনে প্রায় সহ¯্রাধীক গরু-মহিষ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের অপেক্ষোয় ছিল। অবশেষ গরু মহিষ গুলো বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের জন্য বিজিবিকে ৮কাটুন মদ, ১৫কাটুন সিগারেট দেওয়ার পর বিজিবি সীমান্তে জিরো পয়েন্টের ১কিলোমিটার অতিক্রম করে ৭টি গরু ও ১০টি মহিষ আটক করে বিজিবি লালাখাল ক্যাম্প। আটককৃত গরু গুলো চোরাকারবারী দলের সদস্য হরিপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্ধা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, হেমু মাঝেরটুল গ্রামের বিলাল আহমদ, নিজপাট ইউনিয়নের রুপচেং গ্রামের বাসিন্ধা নাজিম উদ্দিন এবং আটক মহিষ গুলোর মালিক দরবস্ত ইউনিয়নের মানিকপাড়া গ্রামের বিলাল উদ্দিন উরফে লেংড়া বিলালের বলে জানায় চেরাকারবারী একাংশের সদস্যরা। তারা আরও জানায় বিজিবিকে লাইনের টাকা, মামলার জন্য গরু-মহিষ, বিড়ি, সিগারেট ও মদ দিয়ে বড় বড় ব্যবসায়ীদের গরু মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ করে। গতকাল ২৮ ডিসেম্বর শনিবার লাইনের টাকা, ৮কাটুন মদ, ১৫কাটুন সিগারেট দেওয়ার পরও বিজিবি ১৭টি গরু মহিষ নিয়ে প্রায় সহ¯্রাধীক গরু মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এই গরু গুলো জৈন্তাপুর বাজার, দরবস্ত বাজার ও হরিপুর বাজারে প্রবেশ করে।
    সচেতন মহলের দাবী সীমান্তে চোরাচালান ব্যবসা কোন ভাবে বন্দ করা সম্ভব নয়, যেখানে বিজিবি চোরাকারবারীদের সুযোগ করে দেয়। যার ফলে জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্তের শ্রীপুর ক্যাম্পের আওতায় ১২৮০-১২৮১ মেইন পিলার, মিনাটিলা ক্যাম্পের ১২৮৩ সুপারী বাগান, ও রাবার বাগান, ডিবির হাওর সীমান্তের ১২৮৫ ও ১২৮৬ রিভার পিলার এলাকা, জৈন্তাপুর ক্যাম্পের ১২৮৬ ফুলবাড়ী, ১২৮৮ টিপরাখলা, ১২৯০-১২৯১ কমলাবাড়ী, ও ১২৯২ গুয়াবাড়ী এবং লালাখাল ক্যাম্পের ১২৯৬ বাইরাখেল, ১২৯৮ জালিয়াখলা, ১৩০০ লালাখাল কালিঞ্জি সারীনদীর মুখ, ১৩০১-১৩০২ ও ১৩০৩ বাঘছড়া, তুমইর ও জঙ্গীবিল এলাকা দিয়ে প্রায় ৪০জন চোরাকারবারী দলের সদস্যরা প্রায় ৩হাজার লোক দিয়ে বাংলাদেশে গরু-মহিষ, মদ মাদক, বিড়ি-সিগারেট, চা-পাতা, কসমেটিক্স সামগ্রী, সহ নানা রকম ভারতীয় পন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানান।
    লালাখাল বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার হযরত আলী এবং বিজিবির ভিআইপি সদস্য আবুল খায়ের লাইনের টাকা, ১৫কাটুন সিগারেট ও ৮কাটুন মদের কথা অস্বীকার করে বলেন, বাঘছড়া এলাকা হতে বিজিবি ১৭টি গরু মহিষ আটক করে। তার জন্য চোরাকারবারী দলের সদস্যরা বিজিবির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আটক গরু মহিষ কাষ্টম কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ৭টি গরু ৪লক্ষ ৯০হাজার টাকা এবং ১০টি মহিষ ৮লক্ষ ১৩হাজার টাকায় লিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। সহ¯্রাধীক গরু মহিষ প্রবেশের বিষয় জানাতে চাইলে তারা বলেন, বিজিবি’র জোয়ানরা টহল অব্যাহত ছিল এরকম কিছু ঘটেনি।