লন্ডন থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তারেক রহমান

    0
    235

    আমারসিলেট24ডটকম,০৪জানুয়ারীঃ কারো নির্দেশনার অপেক্ষায় না থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে এবং নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান । আজ শনিবার লন্ডন থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তারেক রহমান এই আহ্বান জানান।

    বার্তায় তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি সালাম জানিয়ে বলেন,আমাদের দেশ যখন আজ এক গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত, তখন ‘আপনারা ভালো আছেন’ এই প্রত্যাশা যেন নিছকই এক আনুষ্ঠানিকতা। মত প্রকাশে সরকারি হস্তক্ষেপ, হয়রানি, দমন-পীড়ন এবং জনমনে সর্বোপরি অশান্তি আজ এমন এক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে যে, আমি আশঙ্কা করি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই হয়তো আজ আর আন্তরিকভাবে বলতে পারেন না যে- আমরা ভালো আছি।

    তারেক জিয়া বলেন,প্রিয় দেশবাসী, নানা পালাবদল থাকলেও রাজনীতি হচ্ছে মৌলিকভাবে মানুষকেন্দ্রীক। আমি, আপনি, আপনারা – আমাদের সকলেরই রাজনৈতিক বিশ্বাস আছে। রাজনীতিতে আমরা হয়তো কেউ সরাসরি যুক্ত, বা কেউ কোনো সংগঠন বা আদর্শকে সমর্থন করি। আমাদের সবারই নিজেদের রাজনৈতিক মতামত আছে। হতে পারে সেই মতামতগুলো ভিন্ন-ভিন্ন ও স্বতন্ত্র। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে আমাদের সবার মাঝে যে মিলটি রয়েছে, তা হচ্ছে- আমাদের চিন্তা ও চেতনায় রয়েছে এই দেশ, এই দেশের মানুষ। দেশের কল্যাণের উপায় নিয়ে আমাদের নিজেদের মাঝে ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কোনো ভিন্নমত থাকতে পারে না।

    তারেক আরও বলেন,আজ অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি, চলমান রাজনীতিতে যেন দেশের এই অস্তিত্বকে ঘিরেই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের যে সংজ্ঞা আমরা চিরকাল জেনেছি, ক্ষুদ্র একটি রাজনৈতিক জনসমষ্টি নিজেদের স্বার্থে আজ সেই সংজ্ঞাকে বদলে ফেলছে। প্রতিবেশি যে রাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক হতে পারে স্বাভাবিক, ভিত্তি হতে পারে পারষ্পরিক মঙ্গল ও সমঝোতা, সেই সম্পর্ককে ব্যাক্তিগত ও সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করে সেই রাজনৈতিক জনসমষ্টি আজ জনমতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। গণতন্ত্রের পালাবদলেই এক সময়ে আজকের এই জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়েছিল। ক্ষমতায় যাওয়ার সেই প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা সেই প্রক্রিয়াকে মেনে নিয়ে বিরোধী দলে গিয়েছিলাম। কিন্তু গত পাঁচ বছরে দেশের সম্পদের অভূতপূর্ব লুটপাট, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বর ন্যাক্কারজনক বিনাশ, আর রাজনৈতিক-বিরোধী ও সমালোচকদের নজিরবিহীন দমনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, তাদের ক্ষমতা লাভের সেই প্রক্রিয়া প্রকৃতপক্ষেই কলঙ্কজনক ছিল।

    তিনি বলেন,বাংলাদেশ জুড়ে আজ চলছে এক গভীর রাজনৈতিক সংকট। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের উপর বিক্ষুদ্ধ হয়ে আছে দেশের মানুষ। জনসমর্থন ও আত্মবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় পৌঁছানো আওয়ামী লীগ সরকার গণমানুষের ইচ্ছাকে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা, রাজনৈতিক গুম-খুন, সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের গণহত্যা, আর দুর্নীতির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব অভিযোগের মুখে মানুষ প্রতিটি পদে-পদে এ সরকারের ওপর অনাস্থার কথা জানিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় নির্বাচনগুলোয় প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও বিএনপি প্রার্থীদের ব্যাপক বিজয়ের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অবস্থান – দুটোকেই দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

    তিনি বলেন,সৃষ্ট অচলাবস্থায় মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই আজ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। নির্বাচনকালীন যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল, ছয়জন সাধারণ মানুষকে নিহত হতে হয়েছিল, সেই ব্যবস্থার প্রতি আজ তাদের কেন এত অনীহা? সেই ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেই ক্ষান্ত না হয়ে কেন তারা একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে; বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম করছে; অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়ন-গ্রেপ্তার চালাচ্ছে? পুরো দেশ যেন আজ একটি কারাগার, যেখানে জান-মালের নিরাপত্তা নেই; আছে কেবল ভীতি ও আতঙ্ক। নিরপেক্ষ নির্বাচনে অপমানজনক পরাজয় আর গণহত্যা-নৈরাজ্য-দুর্নীতি-অপশাসন সৃষ্টির দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর ভয় থেকেই কি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের এই অবস্থান? দেশবাসীর চাওয়া-পাওয়া, তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, এসবের কি কোনই মূল্য নেই? আওয়ামী লীগ কি আবারও চূড়ান্তভাবে সেই বাকশালে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে; যেখানে ভিন্ন মত, ভিন্ন আদর্শ আর সমালোচনাকে রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা হত্যা করা হত? বাকশালের পরিণতি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হওয়া এ দেশের জন্য, এ দেশের মানুষের জন্য, এমনকি আওয়ামী লীগের জন্যও তা ভালো ফল বয়ে আনেনি। আমাদের সবার রাজনীতি যেহেতু দেশের কল্যাণার্থেই হওয়া উচিত, তাই মানুষকে সাথে নিয়ে উজ্জ্বল সম্ভাবনার দিকে যাত্রা না করে কেন আমরা আবার সেই অরাজক অতীতে ফিরে যাব?

    দেশবাসীক তারেক আরও বলেন, ২০০৬ সালে সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ মেনে নেয়নি। অভিযোগ করা হয়েছিল যে বিচারপতি কে এম  হাসান বিএনপিপন্থী। অথচ আজ যে শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হতে চাচ্ছেন, তিনি কেবল অনিরেপক্ষই নন, খোদ আওয়ামী লীগের প্রধান। কোন ভরসায়, কিসের ভিত্তিতে  বিএনপি বা অন্য যেকোনো দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে? সংবিধান তো ঐশী বাণী নয় যে এটিকে পরিবর্তন করা যাবে না। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মত আমিও প্রশ্ন করতে চাইঃ- সংবিধানের জন্য জনগণ, নাকি জনগণের জন্য সংবিধান? জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে এ পর্যন্ত ১৫ বার আমাদের সংবিধান সংশোধিত হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশের সংবিধানে যদি ৯৮ বার সংশোধন এসে থাকে, তাহলে জনগণের চাওয়া অনুযায়ী, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে, আমরা কেন ষোড়শ সংশোধনী করতে পারব না? নির্দলীয় সরকারের দাবি অসাংবিধানিক বলে সরকার এটিকে প্রত্যাখ্যান করছে। এটিই যদি তাদের যুক্তি হয়, তবে আমাদের সংবিধানের একটি সংশোধনও করা সম্ভব হত না। আমরা পড়ে থাকতাম সেই ১৯৭২ এর গণ-আকাঙ্ক্ষাবিরোধী সংবিধানে। আওয়ামী লীগ যা বলছে, তা কোনো যুক্তির কথা নয়; বরং সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনের আশীর্বাদ নিয়ে দেশকে অভিশাপের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপপ্রয়াস।

    প্রিয় দেশবাসী, সরকার ১৮ দলীয় জোটসহ সকল বিরোধী দলকে বাইরে রেখে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ দেশে-বিদেশে নানা জরিপ, পর্যালোচনা ও গবেষণা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নৈমিত্তিক নাগরিক অনুষ্ঠান, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের আলোচনা, আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমের প্রতিবেদন, বহির্বিশ্বের কূটনীতিকদের ভাষ্য – সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে – সব দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এর ওপরেই নির্ভর করছে আমাদের গণতন্ত্র চর্চার সর্ববৃহৎ অধিকারের তথা ভোট প্রদানের ভবিষ্যৎ।

    অথচ এরই মাঝে সরকার পরিকল্পিতভাবে একটি প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। যেখানে অর্ধেকের বেশি আসনে ইতিমধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায়, কোনো প্রকার ভোট ছাড়াই, নির্বাচিত হয়ে গিয়েছেন ১৫০ জনেরও অধিক সরকার সমর্থিত প্রার্থী। বাকি যেসব আসন রয়েছে, সেখানেও নামসর্বস্ব কিছু প্রার্থিতার কারণে জনগণ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে গনমাধ্যমসমূহে প্রকাশ পেয়েছে। “জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস”- আমাদের সংবিধানের মূল ভিত্তি। আর সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগ আজ এমন একটি নির্বাচন করতে যাচ্ছে, যে নির্বাচনে একে তো কোনো মানুষেরই ভোট দেওয়ার আগ্রহ নেই, উপরন্তু প্রার্থীহীনতার ফলে দেশের অর্ধেকেরও বেশি ভোটার চাইলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ পারবেন না। ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে আওয়ামী লীগকে মুক্তিকামী জনতা এমনভাবেই প্রত্যাখ্যান ও ধিক্কার জানালেন যে তারা শত চেষ্টা করেও একতরফা নির্বাচনে ৩০০টির এমনকি অর্ধেক আসনেও কোন প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করাতে পারল না। এ দেশের হতভাগ্য জনসাধারণকে ৫ বছর অন্তর ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্র অনুশীলনের একমাত্র সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত করতে চাইছে। গণতন্ত্রের সহস্রাধিক বছরের ইতিহাসে, শতাধিক দেশের রাজনৈতিক পটভূমি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিশ্ব ইতিহাসে এমন প্রতারণামূলক নির্বাচন এর আগে কখনো ঘটেনি।

    বাংলাদেশে আমরা যারা গণতন্ত্রের মূলনীতিতে বিশ্বাস করি, আজ সময় এসেছে আমাদের সবার এক হয়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধ, প্রতিহত ও বর্জন করার। ব্যক্তি স্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে নয়; এটি করতে হবে দেশের স্বার্থে, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, দেশের অস্তিত্বের স্বার্থে। শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, শান্তি চান। আর সেই শান্তির পূর্বশর্ত দেশের মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে পাতানো নির্বাচনের খেলা বন্ধ করা। আমি আহ্বান জানাবো, আসুন, আমরা সূচনা করি আগামীর নতুন বাংলাদেশের। স্বভাবতই, বিশ্বের একটি উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে সম্ভাবনাময় ও সমৃদ্ধ আগামীতে পৌছানোর পূর্বশর্ত একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা। যেখানে মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে, গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা থাকবে। বাংলাদেশের গত ৪২ বছরের ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে যে এ ভূখণ্ডর মানুষ প্রকৃতপক্ষে শান্তিপ্রিয় এবং গণতন্ত্রমনা।

    প্রিয় দেশবাসী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তা উপলব্ধি করেছিলেন বলেই রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর গণতন্ত্র, উন্নয়ন, বহু মত ও পথের পরিবর্তে যখন একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, তখন তিনি দেশে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে আবারও স্বৈরাচার মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠলে বর্তমানে কার্যত গৃহবন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছি। দেশের জনগণ সেই গণতন্ত্রকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দশকের পর দশক ধরে তা লালিত হচ্ছে প্রবল আবেগ ও অনুভুতির সংমিশ্রণে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় ঐক্যজোট দেশব্যাপী আন্দোলন করছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের যে আন্দোলন, তাতে অনেক নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। তাদের উৎসর্গের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হলেও আমাদেরকে ঘরে-ঘরে, গ্রামে-গ্রামে, শহরে-শহরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনে শহীদ সকল ব্যক্তির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের পরিবার সমূহের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। কথা দিচ্ছি, তাদের আত্নত্যাগকে আমরা বৃথা যেতে দেব না। ইন-শা-আল্লাহ, এ দেশে আবারো আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব; নিশ্চিত করব উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি; বয়ে আনব আর্থিক ও সামাজিক অগ্রগতি।

    তারেক রহমান আরও বলেন,আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা আমাদেরই মতো দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন। দেশের মানুষের মতামত ও তাদের বক্তব্য উপলব্ধি করা আপনাদের রাজনৈতিক স্বার্থেই একটি অবশ্যকরণীয়। ভেবে দেখুন, দেশের সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে, পদে-পদে আমাদের প্রাণপ্রিয় ইসলাম ও ধর্মীয় সম্প্রীতিকে রক্তাক্ত করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মত গণদাবীকে ধূলিস্যাৎ করে, এমন লজ্জাজনক নির্বাচন কি একটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক দলকে মানায়? এই নির্বাচন দিয়ে মানুষের ঘৃণা-অভিশাপ ছাড়া আপনাদের আর কী অর্জন হবে? স্বাধীনতার স্বপক্ষের দাবীদার হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতি -যেখানে আপনাদের সরকারের স্থায়ীত্ব-নির্ভর করে অন্য এক রাষ্ট্রের নীতির ওপর, যেখানে সরকার দেশবাসীর ওপর পরাধীনতার শৃঙ্খল চাপিয়ে দেয়- সেই রাজনীতি আপনারা কী করে মেনে নেন? এ কেমন রাজনৈতিক সমর্থন যা দেশের গভীর সংকটেও দলীয় আনুগত্যকে জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে দেশের মানুষের ওপর নৃশংসতা চালায়? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে এর পরিণাম শুভ হয় না।সুত্রঃ ইন্টারনেট।