লন্ডনে ব্যারিস্টার নোরা শরীফের নাগরিক স্মরণ সভা

    0
    229

    আমারসিলেট24ডটকম,১১ফেব্রুয়ারী,মনসুর মকিসঃ গত ৯ ই ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুর ৩:৩০ টার সময় লন্ডনের অভিজাত ইভেন্ট ভেনু – সেন্ট্রাল হল ওয়েস্ট মিনিস্টার এ অনুষ্ঠিত হল ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যারিস্টার নোরা শরীফের স্মরণ সভা।

    সর্বস্তরের প্রবাসীরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলো যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরিফ এর স্ত্রী মরহুমা নোরা শরিফ কে, যিনি বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ কে পূণর্গঠনের ক্ষেত্রেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেছেন।

    উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও লেখক, অমর একুশের রচয়িতা কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী। সভার শুরুতে নোরা  শরীফের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ব্রিকলেন জামে মসজিদের মাওলানা জিল্লুর রহমান।

    সভা পরিচালনা করেন যৌথ ভাবে লন্ডনের টিভি উপস্থাপিকা ঊর্মি মাঝহার ও শেখ রেহানার ছোট মেয়ে আজমেরি সিদ্দিক রুপন্তি।

    বাংলাদেশের বন্ধু ব্যারিস্টার নোরা শরীফ। মৃত্যুর পর দেশ বিদেশের সর্ব স্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যা সত্যিই বিরল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং শোক বার্তা দিয়েছেন, জানিয়েছেন সহমর্মীতা। লন্ডনে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন শত শত লোক। শহীদ আফতাব আলী পার্কে দেয়া হয়েছে গার্ড অফ অনার। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও স্মরণ সভার মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা প্রকাশ করলেন ব্রিটেনে বসবাসরত বাঙ্গালীরা। শুধু বাঙ্গালী নয়, ব্রিটেনের এমপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্মরণ সভায়।

    নোরা শরীফ যেমনি বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছেন, তেমনি ভাবে কাজ করেছেন ব্রিটেনের বাঙ্গালীদের জন্য। নিজের বাসায় রেখে উপকারের কথা শুনা গেছে অনেকের মুখে। লিগ্যাল প্রফেশনে অগনিত বেক্তি বিশেষ কে সহযোগিতা করেছেন তার জীবনে। তিনি একই সাথে একজন ভাল অভিভাবক, সমাজসেবক, শিক্ষিকা, স্ত্রী ও মা ছিলেন। তিনি তার স্বামী – প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। একজন বিদেশী হয়ে বাংলাদেশের জন্য, বাঙ্গালীদের জন্য যা যা করেছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার জন্য যেমনি অসামান্য অবদান রেখেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দলনে সোচ্চার ছিলেন। একবিংশ শতাব্দীতে রাজাকার ও জুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন।

    সভায় অন্যান্যর মধ্যে সৃতি চারন করেন মাইকেল বার্নস, বিমান মল্লিক, মুরাদ কোরায়েশী, টিউলিপ সিদ্দিক, ডঃ জিন হোয়াইট, উইলিয়াম মাওরি, ডঃ শহীদ শাহাদাত হোসেন, নইমুদ্দিন রিয়াজ, সৈয়দ সাজিদুর রহামান ফারুক, জেলি খালেক, মিসেস আহমেদ, ইআম গুডম্যান, সৈয়দ মোজ্জাম্মেল আলী, রায়হান রসীদ, কাউন্সিলর খলিল কাজি, সৈয়দ আনাস পাসা, খালেদা কোরায়েশি, সাবেক হাই কমিশনার গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

    উক্ত অনুস্থানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ডঃ ইমতিয়াজ ও কবিতা আবৃতি করেন রুবি হক।

    অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও গন প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রাশে সরোয়ারদি, আলহাজ্ব সামসুদ্দিন খান, সামসুদ্দিন মাস্টার, হরমুজ আলী, মারুফ আহমেদ চৌধুরী, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন তার দুই মেয়ে রাজিয়া ও ফজিয়া ও তাদের পরিবার। উপস্থিত ছিলেন তার সহকর্মী বৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন তার দুই বোন ও ভাই।

    সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক বার্তা পাঠ করেন রুপন্তি সিদ্দিক, মাননীয় স্পিকার ডঃ শিরীন সারমিন চৌধুরী ও এমপি জেমেরি করবাইন এর শোক বার্তা পাঠ করেন ঊর্মি মাঝহার।

    বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস।

    মানুষের জন্য, দেশের জন্য, জনগনের জন্য, সমাজের জন্য কিছু করলে মানুষ যে তার প্রতিদান দেয় এই স্মরণ সভা তাই প্রমান করে। ব্যারিস্টার নরা শরীফ আমাদের মাঝে ছিলেন এবং থাকবেন, এমনটাই মন্তব্য করেছেন সুধীজন।

    সুলতান মাহমুদ শরীফ ও তার মেয়ে রাজিয়া সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই স্মরণ সভা সফল ও সার্থক করার জন্য।

    সুলতান শরীফ বলেন ‘সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহানুভূতি, ভালবাসা ও সহমর্মিতা আমাকে চির কৃতজ্ঞতার কাছে আবদ্ধ করেছে। আপনাদের সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল আমার কামনা। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ’।