রাতের আধারে জৈন্তাপুরে নদী হতে পাথর উত্তোলন

0
780
রাতের আধারে জৈন্তাপুরে নদী হতে পাথর উত্তোলন
রাতের আধারে জৈন্তাপুরে নদী হতে পাথর উত্তোলন

বিএসএফ ও খাসিয়াদের বাঁধা, যে কোন মুহুত্বে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা

রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার প্রধান দুটি নদীর অন্যতম নদী হল সারী নদী ও রাংপানি নদী। নদী দুটির উৎস্যমূখে রয়েছে সীমান্তবর্তী দেশ ভারতে। কিছু দিন হতে ঝড় বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে পানি বেড়েছে। কিছু সংখ্যাক পাথর খেকু চক্র অর্থের লোভে নিরিহ শ্রমিকদের পাথর সংগ্রহ করতে সীমান্ত অতিক্রম করাচ্ছে। কয়েক দফা নিষেধ দিয়েছে বিএসএফ ও খাঁসিয়ারা, থেমে নেই অবৈধ পন্থায় পাথর সংগ্রহ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শ্রীপুর কোয়ারী (রাংপানি নদীর) লালাখাল নদীর উৎস্যমুখ হতে পাথর খেকু চক্রের সদস্যরা শ্রমিক পাটিয়ে ভারতের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে পাথর লুটে আনায় কয়েক দফা বাঁধা দিয়েছে ভারতীয় খাঁসিয়া নাগরিক ও ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফ। কোন ভাবেই বাঁধা মানছে না পাথর খেকু চক্রের চক্র। সন্ধ্যা হতে ফজর পর্যন্ত সীমান্ত অতিক্রম করে নিরিহ পাথর শ্রমিকদের অতিরিক্ত অর্থের লোভে ফেলে ভারতের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে পাথর চুরির কার্যক্রম ঘটিয়ে আসছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পাথর শ্রমিক জানান, অতিরিক্ত টাকার কারনে আমরা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত হতে পাথর চুরি করে নিয়ে আসি। তারা আরও বলেন, সীমান্তে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মনোনীত সোর্স তাদের নিকট হতে লাইন দিয়ে তারা ভারতের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে থাকে। এদিকে উপজেলার প্রধান দুটি নদীর উৎসমুখ হতে অপরিকল্পিত ভাবে পাথর ও বালু আহরণ হুমকীর মুখে পড়বে পরিবেশ জীব বৈচিত্র।

ভারতীয় সীমান্তের খাঁসিয়া নগরিকরা তাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য যে কোন মুহুত্বে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম হতে পারে। লালাখাল সারী নদীর কর্মরত শ্রমিকরা আরও জানায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় ১৩০০নং আন্তজার্তীক সীমান্ত পিলার অতিক্রম করে পাথর আনতে গেলে হাঠাৎ করে ভারতীয় খাসিয়ারা তাদেরকে ধাওয়া করে। ধাওয়ার করনে শ্রমিকরা ফিরে আসে। অপরদিকে সন্ধ্যা হতে ফজর পর্যন্ত ১২৯০নং আন্তজার্তীক সীমান্ত পিলার অতিক্রম শ্রীপুর কোয়ারীর উৎস্যমুখে গত দু’দিন হতে ভারতের রংহংকং ক্যাম্পের জোয়ানরা শ্রমিকদের ধাওয়া করছে।

কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। অসাধু পাথরখেকু চক্রের সদস্যরা অর্থের লোভে ফেলে শ্রমিকদের সীমান্ত অতিক্রম করে পাথর আনতে পাঠাচ্ছে। সচেতন মহলের ধারানা কোয়ারী বন্ধ থাকার পরে নিরিহ শ্রমিকদের এভাবে অনিরাপদ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে পাথর আনা সটিক নয়। গত শুক্রবার রাতে উপজেলা খাঁসি হাওর এলাকার খাঁসি নদীর উৎস্যমুখে খাঁসিয়ারা গুলি করে শ্রমিকদের উপর। লালাখাল ও শ্রীপুরে একই ঘটনার পূনরাভিত্তি ঘটলে দায়ভার কারা নিবে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগির আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ খবর নিয়ে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শ্রীপুর ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “শ্রীপুর কোয়ারী এলাকায় কোন প্রকার পাথর উত্তোলন হচ্ছে না”। লালাখাল বিজিবি ক্যাম্পের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।