রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে না করে সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হওয়া অবশ্যই দেউলিয়ার প্রকাশ : সুলতানা কামাল

    0
    456

    ॥ আনিছুল ইসলাম আশরাফী ॥  bbc bangladesh sanglap   

    বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে আয়োজিত বিবিসি সংলাপে বিশিষ্ট অতিথিরা বলেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবেই করা উচিত। সেটি না করে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করা রাজনৈতিক দেউলিয়ারই বহিঃপ্রকাশ।
    গতকাল শনিবার বিবিসি সংলাপে অতিথি আলোচক ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আইন ও সালিশকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এবং ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ স্টাডিজের সভাপতি এন এম মুনিরুজ্জামান।
    সংলাপের শুরুতেই সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন এক দর্শক। জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে না করে সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হওয়া অবশ্যই দেউলিয়ার প্রকাশ। কারণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর কাজ প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করা। তারা নিজের উদ্যোগে কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে না। আজকে যদি কেউ বলে রাজনীতিবিদেরা ব্যর্থ এখন আইনজীবীরা দায়িত্ব পালন করবেন, সেটি যেমন হাস্যকর তেমনি সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টিও হাস্যকর।
    গবেষক এন এম মুনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের কথা নতুন কিছু নয়। এটি রাজনৈতিক দেউলিয়া। আর এ ধরনের কথা বললে সেনাবাহিনী দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সেনাবাহিনী কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসবাস করে না। তবে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনীতিবিদদেরই করা উচিত।
    বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সেনাবাহিনী নিয়ে এমন উসকানিমূলক কথা বলা উচিত নয়।
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, বিধি মেনে অস্ত্রের ব্যবহার করা উচিত।
    জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার দ্বিধাগ্রস্ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, তরুণেরা যে দাবি করেছেন, সেটা যৌক্তিক। তবে সরকারকে আইনকানুন মেনে কাজ করতে হয়। কাজেই কোন আইনে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে, সরকার সেটি বিবেচনা করছে।
    সুলতানা কামাল বলেন, একাত্তরে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে গণহত্যায় অংশ নিয়েছে জামায়াত। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে তাদের ভূমিকা সন্ত্রাসীর। কাজেই তাদের অবশ্যই বিচার করা উচিত।
    সুলতানা কামাল বলেন, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।