‘যৌনদাসী’ পর্যালোচনায় জাপানকে দঃকোরিয়ার হুঁশিয়ারি

    0
    241

    আমারসিলেট24ডটকম,০১মার্চঃ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যৌন দাসী ব্যবহারের কথা স্বীকার করে জাপানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হলে তারা ‘একঘরে’ হয়ে যাবে।তিনি জাপানের প্রতি ‘সত্য ঘটনা মেনে নেয়ার ও বিরোধ নিষ্পত্তির’ আহবান জানান।
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সৈন্যদের মনোরঞ্জনের জন্য পতিতালয়ে জোরপূর্বক পাঠানো নারীদের মধ্যে যারা জীবিত রয়েছেন তাদের কাছে ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য ১৯৯৩ সালে ক্ষমা চায় জাপান।তবে শুক্রবার টোকিও জানায়, দক্ষিণ কোরীয় নারীদের জোরপূর্বক পতিতালয়ে পাঠানোর তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এর আগে ওই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জাপান ক্ষমা চেয়েছিল।
    জাপানের রক্ষণশীল কয়েকজনের দাবি, যাদের পতিতালয়ে পাঠানো হয়েছিল তারা ছিলেন পতিতা। তবে তাদের এ বক্তব্য নারীরা ও জাপানের প্রতিবেশীরা তীব্রভাবে নাকচ করে দিয়েছেন।জাপানের ঔপনিবেশিকে শাসনের বিরুদ্ধে ১৯১৯ সালে কোরিয়ায় অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই বক্তৃতা করছিলেন।তিনি বলেন, ‘জীবিতদের বক্তব্যই ঐতিহাসিক সত্য।’
    তিনি আরও বলেন, “জাপান যদি জীবিতদের কথা না শোনার জন্য কান বন্ধ করে রাখে এবং রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘটনাটিকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে তারা কেবল একঘরেই হয়ে যাবে।”
    প্রেসিডেন্ট পার্ক জাপানকে তাদের অতীত ভুলের অনুশোচনার জন্য জার্মানীকে অনুসরণের আহবান জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে দুই দেশ ‘সহযোগিতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির নতুন যুগে পদার্পণ করতে পারবে’।
    উল্লেখ্য,জাপানের দখলকৃত এলাকার প্রায় ২ লাখ নারীকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশটির সৈন্যদের যৌন দাসী হিসেবে জোরপূর্বক ব্যবহার করা হয়।যৌন দাসীদের বেশির ভাগ আনা হয় চীন ও কোরিয়া থেকে। তবে তাদের মধ্যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও তাইওয়ানের নারীরাও ছিলেন। সে জন্য ১৯৯৩ সালে জাপানের ক্ষমা প্রার্থনাকে যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।বাসস