যুক্তরাজ্যে একরাতে পাঁচ মসজিদে হাতুড়ি হামলা,ভাংচুর

    0
    234

    যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে আজ (বৃহস্পতিবার) পাঁচটি মসজিদে হাতুড়ি দিয়ে ভাংচুর চালিয়েছে অজানা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। হামলার পর, বার্মিংহামের মুসলমানদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কাল জুমার নামাজের সময় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

    রাতে উইটনের ইসলামিক সেন্টারে হামলা চালায় অজানা দুর্বৃত্তরা। এতে মসজিদের সাতটি জানালা ও দু’টি দরজা ভাঙচুর করা হয়। হামলার বিষয়ে মসজিদের ইমাম জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    উইটন রোডের ব্রোডওয়ে, স্লেড রোডের কাছে আরেকটি মসজিদে হামলা হয়েছে রাত আড়াইটার দিকে। এরপর রাত সোয়া ৩টার দিকে আর্ডিংটনের আরও একটি মসজিদে হামলার খবর আসে পুলিশের কাছে। এছাড়াও প্রায় একই সময়ে উইটন রোডের অ্যাস্টন ও পেরি বারের ব্রোডওয়ের মসজিদেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের ফরেনসিক কর্মকর্তারা এসব হামলার ঘটনার আলামত সংগ্রহ ও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন।

    ব্রোমফর্ড অ্যান্ড হজ হিল ওয়ার্ডের লেবার পার্টির কাউন্সিলর মজিদ মাহমুদ অনলাইনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের ছবি পোস্ট করেন এবং এক টুইট বার্তায় বলেন: অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গভীর রাতে উইটন রোড ইসলামিক সেন্টার আক্রান্ত হয়েছে। এ সেন্টারের জানালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্ত। আমি গত সপ্তাহে বলেছি যে, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর, মুসলিমরা আতঙ্কিত। আমাদের সহায়তা দরকার।

    এদিকে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ উইটন ইসলামিক সেন্টারের ৬৬ বছর বয়সী ইমাম শারাফাত আলী বলেন: এটা অত্যন্ত ভয়াবহ হামলা। এখানকার মুসলমানরা এখন আতঙ্কে রয়েছেন। আমরা এখানে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। প্রতিদিন সকালে অন্তত ৪০ জন মুসল্লী এখানে নামাজ আদায় করেন। জুমায় এ সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। আমি বুঝতে পারছি না, কেন এসব ঘটছে। আমাদের আরো নিরাপত্তা দিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

    ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে হামলা হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন তারা। তবে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে মসজিদ ভাঙচুরের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। রাতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঐ এলাকায় পৌঁছায় এবং নিরাপত্তার স্বার্থে টহল শুরু করে। রাতে মসজিদে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সূত্র: ডেইলি মেইল।