ময়মনসিংহে হবিগঞ্জ বানিয়াচঙ্গের যুবক খুন: মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার-৪

0
662

নূরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধি: মাত্র ৩ হাজার টাকার জন্য ময়মনসিংহে খুন হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচঙ্গের ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ তালুকদার (২৮)। ঘটনার মাত্র ৩৬ ঘন্টার মধ্যেই ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সাড়াষি অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিহত জাহিদ তালুকদার বানিয়াচং উপজেলার গানপুর গ্রামের মাতাব তালুকদারের পুত্র। ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার ১৮ জুন ময়মনসিংহের নান্দাইলের চৌরাস্তা অরণ্যপাশা এলাকার ভাড়াবাসার একটি কক্ষ থেকে জাহিদ তালুকদার নামে ওই ব্যবসায়ীর হাত-পা বাধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার ক্লুলেস রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, খুনিদের সনাক্তের পর চারজনকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রধান
অভিযুক্ত বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মো. আরাফাত উল্লাহর ছেলে নাঈম ইসলাম গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, গত প্রায় ছয় মাস ধরে তারা আটজন হকার ও একজন মহাজন মিলে নান্দাইল উপজেলার চৌরাস্তা এলাকার অরণ্যপাশা নামক স্থানে ভাড়া বাসায় থেকে কাঠের তৈরি নানা তৈজসপত্রের ব্যবসা করে আসছিল। এ অবস্থায় মহাজনকে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা আমদানি দিত। এর মধ্যে একদিনের প্রায় তিন হাজার টাকা তিনি মহাজনকে দেননি। এনিয়ে প্রত্যেকদিন তাগাদা করেন মহাজন জাহিদ ইসলাম তালুকদার। এক পর্যায়ে তিনি ঢাকায় চলে যায়। সেখানে পুরো ঘটনাটি তার বন্ধুদের জানালে বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নেয় নান্দাইলে গিয়ে মহাজন জাহিদকে হত্যা করবে এবং তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল নিয়ে আসবে। এ কথায় রাজি হয়ে নাঈম গত বৃহস্পতিবার রাতে নান্দাইলে এসে মহাজনের কক্ষে প্রবেশ করে। পরে খেয়ে সকলেই বিছানায় গেলে মহাজন জাহিদ ঘুমিয়ে পড়লে চারজনে মিলে তাকে হাত-পা বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরো করে। শুক্রবার ভোরে তারা ঢাকার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। সঙ্গে নিয়ে যায় মহাজনের দুটি মোবাইল ও নগদ এক হাজার টাকা। অন্য আসামীরা হল, ঢাকার কোটবাড়ি এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে হোসেন আলী (২১), ময়মনসিংহের নারায়নপুর গ্রামের সালামতের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯) ও একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে সুমন মিয়া (১৯)।