আমারসিলেট 24ডটকম ,২৩সেপ্টেম্বর ,মেহেদী হাসান রুমী : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর গ্রামের ৭০ বছর বসয়ী ‘স’ অদ্যাক্ষরের এক মুরব্বী এবং তরুন সমাজসেবক গৌছুল হোসেনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাজাঁনো (?)ধর্ষণের অভিযোগকারী মনি বেগমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।সাজাঁনো ধর্ষণের অভিযোগকারীনি কদুপুর গ্রামের মৃত সুফি মিয়ার ৩য় স্ত্রী মনি বেগম।কেন কি কারণে এবং কাদের ইন্ধনে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিল তাও জানতে চায় এলাকাবাসী। সাজাঁনো ধর্ষণের অভিযোগকারী মনি বেগম ও তার ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের কাছে এলাকাবাসী লিখিতভাবে আবেদন করেছে।
এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার তদন্তপূর্বক প্রতিবেদনের জন্য মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। উভয় সংস্থ্যার তদন্ত রির্পোট প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, গৌছুল হোসেনসহ এলাকার এক মুরব্বীর বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল, তা মিথ্যা প্রতিয়মান হয়েছে। সে কারণে বাদীনির অভিযোগ এফআইআরভুক্ত করা হয়নি। এ ঘটনার পর কদুপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগকারী মনি বেগম ও তার ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পুলিশ সুপার বরাবরে পেশ করা হবে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ পরিদর্শক তাপস বলেন, মহিলার অভিযোগটি মিথ্যা প্রমানিত হয়। পরবর্তীতে নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ ভ্যান দিয়ে মনি বেগমকে কদুপুর গ্রামে সাবেক মেম্বার ইউসুফ মিয়ার জিম্মায় দিয়ে আসা হয়েছে।মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান জানান, গত ৩১ আগষ্ট শনিবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় কদুপুর গ্রামের মৃত সুফি মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করে, স অধ্যাক্ষরের এক প্রবীন মুরব্বী ও গৌছুল হোসেন তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে তদন্ত করার জন্য এস আই তাপস ও এসআই গিয়াসকে সঙ্গীয় ফোর্স দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠাই। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের লোকের বক্তব্য নেয়া হয়। তদন্তকালে ঘটনাটি সাজাঁনো বলে প্রতিয়মান হয়। সে কারণে মনি বেগমের অভিযোগপত্র এফআইআরভুক্ত করা হয়নি।
কদুপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি আবেদনপত্র পুলিশ সুপারের কাছে দেয়া হয়েছে, সেই আবেদনপত্রের প্রেক্ষিতে তদন্ত করছেন এস,আই গিয়াস উদ্দিন।মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম জানান, কদুপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আসা আবেদন পত্রটির প্রেক্ষিতে দু’টি সংস্থা তদন্ত করছে, তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।