মৌলভীবাজারে খাসিয়া পানের দর আকাশ চুম্বী ক্রেতারা হতাশ

    0
    265

    আলী হোসেন রাজন.মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে খাসিয়া পানের দর আকাশ চুম্বী বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি এলাকা অধ্যুষিত ও পানের ভান্ডারখ্যাত মৌলভীবাজার। এ অসময়ে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা হতাশ হয়েছেন।

    ক্রেতারা বলেছেন পানের বাজারে সিন্ডিকেট কাজ করছে। প্রতি বছরের মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে পানের দাম বেড়ে যায়। , মৌলভীবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকায় ৭০টি পান পুঞ্জি রয়েছে। এসব পুঞ্জি থেকে পান ক্রয় করে পাইকারেরা রাজধানীসহ দেশ-বিদেশে বাজারজাত করে থাকে।

    এর মধ্যে লাউয়াছড়া পান পুঞ্জি,শ্রীমঙ্গলের নিরালা পুঞ্জি, কুলাউড়া উপজেলার ফানাই পুঞ্জি, রবিরবাজার নুনছড়া পুঞ্জি ও রাজনগর উপজেলার ইনাই পান পুঞ্জি অন্যতম। প্রায় ২শ বছরের পুরোনো পান এক প্রকার লতা জাতীয় সবুজ উদ্ভিদ, যা পাহাড়ি এলাকার অরন্যে বৃক্ষের উপর ভর করে বেড়ে উঠে। একটি পান গাছ ২শ থেকে ৩শ পান পাতার জন্ম দিতে পারে। এসব পান তুলে নিলে আবার নতুন করে কুঁিড় দেয়া শুরু করে।

    শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত না হওয়াতে গাছ থেকে পান কুঁড়ি দেয়া বন্ধ করে দেয়। এ কারণে এ ক’মাস খাসিয়া জাতের এসব পান তেমন একটা বাজারে দেখা যায়না। তখন ছুঁই ছুঁই কর দর বাড়ে। পরবর্তীতে বৈশাখ মাস থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলে পান কুঁড়ি দিয়ে বাড়তে শুরু করে। একটি পান মোঠা আকার ধারণ করে পুর্ণরূপ নিতে মাস-দেড়-এক সময় লাগে। জৈষ্ঠ্য মাসে পান তার সরূপ ধারণ করে মোঠা হলে পানির দামে পাইকারী বাজারে বিক্রি করে খাসিয়ারা।
    চলতি বাংলা বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে হঠাৎ করে দর বাড়াতে খাসিয়া সিন্ডিকেট, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পান চাষীরা বলছেন, এ বছর পান উৎপাদন কম হওয়াতে দাম বেড়েছে। এবার বৃষ্টিপাত না হওয়াটাই পানের দাম বাড়ার প্রধান কারণ। প্রতি ২০ কান্ডায় ১ কুড়ি পান এখন ২ হাজার থেকে ২২শ টাকায় আমরা বিক্রি করছি। পান উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে প্রতি কুড়ি ৭শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি হয়।

    আদী কালের এসব পান ভান্ডারখ্যাত ও খাসিয়া এলাকার পান পুঞ্জির নেতাকে বলা হয় মন্ত্রী। এখনো সেই মন্ত্রীদের দখলে খাসিয়া পুঞ্জি।