মৌলভীবাজারে কৃষকদের স্বপ্ন নিয়ে কৃষি কর্মকর্তার মনগড়া বক্তব্য

    0
    257

    আলী হোসেন রাজন: ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের ছোবলে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। মৌলভীবাজারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুলবুলের ঝড়ে কয়েক হাজার হেক্টর জমির কাঁচা-পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ক্ষয়ক্ষতির কোন হিসাব না দিয়ে বলছেন, ঘুর্ণিঝড় বুলবুল তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি একটু একটু ঝিরঝির বৃষ্টি হয়েছে মাত্র।
    মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। আর ফলনও খুব ভাল হয়েছে। তবে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবের প্রভাবে মৌলভীবাজার জেলা ব্যাপি আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ রোগবালাই থেকেও ফসল রক্ষা পেয়েছিল। কৃষকরা যখন ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিক তখনই বুলবুলের থাবায় কৃষকের মুখের হাসির ঝিলিক ম্লান হয়ে গেছে। ফসল হারিয়ে তারা বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার কৃষকদের মধ্যে প্রান্তিক চাষিরা বিভিন্ন এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন । ফসল বিক্রি করে সেই ঋণ পরিশোধ করবেন এবং সংসার চলবে।

    এবারও বুকভরা আশা নিয়ে তারা আমন ধান আবাদ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ প্রাকৃতিক বৈরি আচরণ তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে।
    মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৬নং একাটুনা ইউনিয়ন ও কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা বলেন কৃষকের এত বড় ক্ষতি হওয়ার পরও কৃষি বিভাগ কোন খোঁজ-খবর নেয় নি। আমরা কৃষি বিভাগের দিকে থাকিয়ে আছি, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারনে আমাদের আমন ধান মাটির সাথে মিশে গেছে ,খেতের পানিতে ধান ডুবে গিয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

    এ অবস্থায় কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস না দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উড়িয়ে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে নিজের দায় সেঁরেছে কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কাজি লুৎফুল বারী তনিি বলেন ঘুর্ণিঝড় বুলবুল তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি একটু একটু ঝিরঝির বৃষ্টি হয়েছে মাত্র।
    ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারনে কৃষকদের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সরকারের একটু সহযোগিতা পেলে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।