ভাষানটেকে হত্যা রহস্য উদঘাটন,সিলেটে আসামী গ্রেফতার

    0
    296

    ভাষানটেক থেকে: ভাষানটেক থানাধীন জামাল উদ্দিনের বাড়ীর যুবককে হত্যা রহস্য উদঘাটন করে প্রধান আসামী রহমত উল্ল্যাহকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    বুধবার ৬ জানুয়ারি, রাত ১১ টায় সিলেটের সুমানগঞ্জ জেলার, ধর্মপাশা থানা এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে রহমত উল্ল্যাহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
    পুলিশ সূত্রে জানান যায়, গত ০১ জানুয়ারি ২০২১ বিকালে ভাষানটেক থানায় সংবাদ আসে, বাসা নং-১৬৬/৫ এর ৫ম তলা ছাদের উপর চিলেকোঠার একটি ঘরে এক যুবককে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম শাহ আলম।
    সে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার মাগুরজোড়া গ্রামের বাসিন্দা। শাহ আলম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এম.ই.এস শাখায় লেবার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ীতে সংবাদ দিলে শাহ আলমের ছোট ভাই ভাষানটেক থানায় আসে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    সূত্রবিহিন এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের ভাষানটেক থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন গভীর ভাবে পর্যালচোনা শুরু করেন। মৃত ব্যক্তির পাশে পড়ে থাকা একটি মোবাইল থেকে রহস্য ভেদের শুরু হয়। কল লিস্ট থেকে প্রথম অবস্থায় সন্দেহভাজন কয়েক জনকে আটক করা হলেও মূল আসামী থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
    ওসি দেলয়ার হোসেনর বিচক্ষণতায় ঘটনার দুদিনের মধ্যেই মূল আসামী রহমত উল্ল্যাহ সনাক্ত হয়। আধুনিক কল ট্রেকিং ব্যবহার করে পুলিশ আসামীর বর্তমান অবস্থান সনাক্ত করে সিলেটের সুমানগঞ্জ জেলার, ধর্মপাশা এলাকা থেকে রহমত উল্ল্যাহকে গ্রেফতার করে।
    বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীতে আসামী জানান, মৃত শাহ আলম একজন সমকামি ছিলেন। ১ বছর যাবত তাদের পরিচয়। সেই সূত্রে তাদরে মধ্যে ভাল সর্ম্পক গড়ে উঠে। আনুমানিক ১০ মাস আগে সে (শাহ আলম) আমার সাথে সমকামিতা শুরু করে।
    মাঝে মাঝে শাহ আলম আমাকে ৫০০/১০০০ টাকা দিত। একসময় বিষয়টি আমার মনে ভিষণ ভাবে প্রভাব ফেলে। গত ডিসেম্বরের ৫ তারিখে আমি সিদ্ধান্ত নেই আলমকে মেরে ফেলব।
    ৩০-১২-২০২০ রাত অনুমান ১১:৩০ মিনিটের দিকে শাহ আলমের বাসায় যায়। দুইজনে একত্রে টিভি দেখতে থাকি। এক সময় আলম ঘুমিয়ে পড়লে রাত ৪ টার দিকে রান্না ঘর থেবে চাকু নিয়ে আলমের পিঠে আঘাত করি। শাহ আলম বাচার জন্য ধস্তাধস্তি করে।
    ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে মৃত শাহ আলম খাটের উপর পড়ে যায়। আমি তখন আলমের গলায় চাপ দিয়ে ধরে চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করে ভুড়ি বের করে ফেলি। তারপর জবাই করে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করি। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি বিছানার নিচে লুকিয়ে রেখে বাথরুমে গিয়ে গায়ে লাগা রক্ত ধুয়ে পরিস্কার করে রুমে তালা দিয়ে পালিয়ে যাই।
    ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান, আসমীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।