বড়লেখায় কলেজ ছাত্রী উত্যক্তের অপরাধে দু’বখাটেকে গণপিটুনি শেষে

0
446
বড়লেখায় কলেজ ছাত্রী উত্যক্তের অপরাধে দু'বখাটেকে গণপিটুনি শেষে
বড়লেখায় কলেজ ছাত্রী উত্যক্তের অপরাধে দু'বখাটেকে গণপিটুনি শেষে

আফজাল হোসেন রুমেল, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ বড়লেখায় ছাত্রী উত্যক্তের অপরাধে দু’বখাটেকে গণপিটুনি শেষে মুচলেখায় মুক্তি দিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যরা। মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর পাথারিয়া কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করায় ২ বখাটেকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সে ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে এখন ভাইরাল। ঘটনাটি ঘটেছে ৭ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে সোমবার দুপুরে।

আটকৃতরা হচ্ছে- জুড়ী উপজেলার উত্তর জাহাঙ্গীরাই গ্রামের এখলাছুর রহমানের ছেলে রায়হান মিয়া ও ভোগতেরার মাসুক মিয়ার ছেলে মারুফ হোসেন। তবে ঘটনায় জড়িত আরেক বখাটে বড়লেখার আব্দুস সামাদ পালিয়ে যায়। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে কলেজ ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে বলে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে।

কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে রায়হান মিয়া, মারুফ হোসেন ও আব্দুস সামাদ মিলে সুজানগর পাথারিয়া কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিল। এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দুইজনকে আটক করতে পারলেও আব্দুস সামাদ পালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা আটক দুইজনকে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে উত্তম-মধ্যম দেয়।

পরে বেলা ২টার দিকে সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলামের উপস্থিতি ভবিষ্যতে ছাত্রীদের আর উত্ত্যক্ত করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে দুই বখাটেকে উত্তম-মধ্যম দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে অনেকে ২ বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।

সুজানগর পাথারিয়া কলেজের অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ৩ বখাটে মিলে বেশ কয়েক দিন ধরে তার কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। সোমবারও তারা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ২ জনকে হাতেনাতে আটক করে। আব্দুস সামাদ নামক এক বখাটে পালিয়ে যায়। আটক ২ জনকে সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করবে না মর্মে মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।