বিয়ের প্রলোভনে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর মৃত সন্তান প্রসব,আদালতে মামলা

0
791
বিয়ের প্রলোভনে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর মৃত সন্তান প্রসব,আদালতে মামলা

নূরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ  নবীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের নামে কিশোরীর সর্বনাশ করার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক বার শারীরিক মিলনের ফলে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা কিশোরীর মৃত সন্তান প্রসব। পিতৃপরিচয় নেই নবজাতকের। অবশেষে ময়নাতদন্ত।

মেয়ের মুখে প্রেমিক আবুল হোসেন খান নামে এক যুবকের নাম শোনা গেলেও অস্বীকার তার। এনিয়ে বিপাকে পড়েছে নাবালিকা কিশোরী মেয়ের পরিবার। দায়ের করা হয়েছে আদালতে মামলা। অভিযুক্ত ছেলের পরিবার এলাকার প্রভাবশালী বলে জানান প্রতিবেশীরা। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব-তিমিরপুর শাখা-বরাক নদীর পারের বাসিন্দা মোঃ লকন মিয়ার কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

এ নিয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (৩), মামলাও করেছেন ভুক্তভোগী মেয়ের দিনমজুর অসহায় পিতা। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় একই গ্রামের আবুল কালামের পুত্র আবুল হোসেন খান (২২)কে।

২০২১ সালের জুন মাসে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

এদিকে ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত প্রায় পৌনে ২ টায় অন্তঃসত্ত্বা এই কিশোরী এক মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে। ঘটনার খবর পেয়ে পিবিআই (হবিগঞ্জ) এর নির্দেশে মৃত নবজাতকের ময়নাতদন্ত করা হয় হবিগঞ্জ মর্গে।

এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু  তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে কিশোরী মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ন্যায় বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি পরিবার সহ একালাবাসির।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্বতিমিরপুর গ্রামে প্রেমের নামে দিনমজুর লকন মিয়ার ১৭ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে ৩ বার ধর্ষণ করে একই গ্রামের আবুল হোসেন খান নামে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে মামলার বিবরণে জানা যায়। গ্রাম্যমাতববরদের আশ্বাস আর সালিশে বিচার না পেয়ে অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে একই গ্রামের আবুল কালাম খানের পুত্র আবুল হোসেন খান (২২) কে। সোমবার ৭ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩,হবিগঞ্জে মামলাটি দায়ের করে ভুক্তভোগী কিশোরী।

মামলার বিবরণে আরো জানা গেছে, প্রায় ২ বছর ধরে জনৈক কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো আবুল হোসেন খান। তবে তার প্রস্তাবে মেয়েটি কোনোভাবেই রাজি হয়নি। এ ঘটনার দিন কিশোরী মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যান। বাড়িতে শুধু ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি ছিল। পুর্বের পরিচয়ের সুবাধে রাতের আধাঁরকে কাজে লাগাতে মনের বাসনা পূর্ন করতে আসে অভিযুক্ত যুবক। দরজার সামনে এসে ডাক দিলে পরিচিত গলার শব্দ শুনে মেয়েটি ঘরের দরজা খুলে দেয়া মাত্রই এই যুবক ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে করে ওই মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পর্যায়ক্রমে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এতে কিশোরী প্রায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়।

পরে এ ঘটনার জানাজানি হলে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ গ্রাম্যমাতববররা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করে ভিকটিম পরিবার।