বিজয়ীও পরাজিত পক্ষের সমর্থকদের সহিংসতায় নিহত-৫

    0
    239

    আমারসিলেট24ডটকম,০৬জানুয়ারীঃ  ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে বিজয়ী ও পরাজিত পক্ষের আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে আজ সোমবার সকালে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নে হাজারবিঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সকাল ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা এবং পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৯টার দিকে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের পক্ষের লোকজন দোহার উপজেলার বিলাসপুর এলাকার ৩টি বাড়িতে হামলা চালায়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক পক্ষ লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থন করার কারণে আজ এই হামলা করা হয়। এ সময় কমপক্ষে ২০ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ ছাড়া লুটপাট এবং গুলি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাড়ির বাইরের মাঠেও কয়েকজনকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
    হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মকবুল হোসেন এবং আওয়ামী লীগকর্মী মোশাররফ খন্দকার। আহতদের গুরুতর অবস্থায় নবাবগঞ্জ হাসপাতাল এবং স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। নবাবগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর মাসুদ নামের আরেক আওয়ামী লীগকর্মীকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। আহতদের মধ্যে থেকে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় মিডফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুসা খন্দকার (৫৫) ও তাঁর ছেলে মাসুদ খন্দকার (২৮), মকবুল হোসেন (৩৫) ও আসলাম হোসেন (২০)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় আনার পথে মারা যান আসলাম হোসেন, তাৎক্ষণিকভাবে অপর একজনের নাম পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে আরও কয়েজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
    নবাবগঞ্জ থানার ওসি সাইদুর রহমানের সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুরের যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে এটি দোহার থানার এলাকার মধ্যে পড়েছে। আমরা জানতে পেরেছি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান সাহেবের লোকজন আওয়ামী লীগের আরেক গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি কামরুল হাসানের সূত্রে জানানো হয়,তিনি বলেন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিজয়ী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের পক্ষ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী আবদুল মান্নান খানের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। জড়িত অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।সুত্রঃকালেরকণ্ঠ