বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেবো-কর্মীদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী

0
309

“খালেদা জিয়া অসুস্থ্য ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত রেখে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি মানবিক কারণে। এ সময় মিলনায়তনে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাত নেড়ে সেই সুযোগ বাতিলের দাবি জানাতে থাকলে এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেব, কোন চিন্তা করবেন না। এ কথা বলার পর নেতাকর্মীরা শান্ত হন।”

আমার সিলেট ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা কড়া হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, বিএনপি যদি বেড়ি বাড়াবাড়ি করে তবে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠিয়ে দেব। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কোন কথা নেই, কিন্তু একটা মানুষের গায়ে হাত দিলে ছাড়বো না।

আর বিএনপি যে এতো লম্ফ-ঝম্প করে তাদের দলের মাথা কোথায়? সবাই তো দুর্নীতিবাজ, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। দেশের মানুষ কেন তাদের পাশে থাকবে? আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের গত সাড়ে ১৩ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কথা জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সামনে নির্বাচন। আমরা মানুষের মন জয় করে এবং দেশের উন্নয়ন করেই নৌকার পক্ষে ভোট আনবো। দেশের মানুষ আর সেই অশান্ত পরিবেশ চায় না, শান্তির পরিবেশ চায়, দেশের উন্নতি চায়। তাই দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকেই চায়, কেননা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা মানে দেশে শান্তি, উন্নয়ন আর অগ্রগতি।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর ২০২২) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির অপতৎপতার সমালোচনা করে আরও বলেন, দেশের জনগণ কি একটু ভেবে দেখেছে এই লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদীরা (বিএনপি-জামায়াত) ক্ষমতায় আসলে দেশের অবস্থা কি হবে? করোনা মহামারীসহ দুঃসময়ে বিএনপির অস্তিত্ব কোথায় ছিল? তারা তো জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি।

বিএনপি যে এতো লম্ফঝম্প করছে আর স্বপ্ন দেখছে জনগণ ভোট দিয়ে ভরে দেবে- এতো সহজ নয়। দেশের জনগণ কী বিএনপির শাসনামলের হাওয়া ভবন, দুঃশাসন, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি, দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতনের কথা ভুলে যাবে? ভুলবে না। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছে, বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য পারভীন জামান কবিতা, জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে দলের জন্মই সংবিধান লংঘন করে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে (জিয়াউর রহমান), সেই দল গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে কোন মুখে? আবার অনেকে তাদের সঙ্গে তাল মেলায়। কিন্তু আমার প্রশ্ন- বিএনপির নেতৃত্ব কৈ? বিএনপি নেতাদের বলুন- তাদের নেতা কে? এতিমের টাকা আত্মসাত মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত।

আর মামলা আমরা দেইনি, খালেদা জিয়ার প্রিয় কাছের মানুষ ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনরা দিয়েছেন। এই ফখরুদ্দিন আহমদকে খালেদা জিয়া বিশ্বব্যাংক থেকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর করেছিলেন। জেনারেল মঈনুদ্দিনকে ৯ জন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে সেনাপ্রধান করেছিলেন। তাঁর প্রিয় মানুষরাই মামলা দিয়েছে, আদালতে প্রমাণের পর সাজা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ্য ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত রেখে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি মানবিক কারণে। এ সময় মিলনায়তনে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাত নেড়ে সেই সুযোগ বাতিলের দাবি জানাতে থাকলে এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেব, কোন চিন্তা করবেন না। এ কথা বলার পর নেতাকর্মীরা শান্ত হন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সময় দেশে কয়টা সরকার ছিল? হাওয়া ভবনে একটা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আরেকটা। হাওয়া ভবনের পাওনা না মিটিয়ে দেশে কোন উন্নয়নের কাজ হয়নি। কেউ ব্যবসা করতে পারেনি। এক ভাগ হাওয়া ভবনে আরেক ভাগ পিএমওতে তৈরী ব্যক্তিগত উন্নয়নের উইংয়ে দিতে হতো। ব্যবসায়ীদের দু’ভাগ দিয়েই তবে ব্যবসা করতে হতো। তাদের চরম দুর্নীতি, বিদেশে বিপুল অর্থপাচারের ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই তদন্ত করে বের করেছে।

তদন্ত করে তাঁরা খুঁজে পেয়েছে খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও কোকার পাচারকৃত অর্থের। এফবিআইএর প্রতিনিধি এসে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং সেই মামলায় তারেক রহমানে ৭ বছরের সাজা হয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাতেও তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। বিএনপি এতো লম্ফঝম্প করছে, বিএনপি দলের মাথা কোথায়? সবই তো দুর্নীতিবাজ, সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামী। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে দগ্ধ করেছে, শত শত মানুষকে পেট্টোলবোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যত কিছু ধ্বংসাত্মক কাজ করতেই তারা (বিএনপি) পারদর্শী।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সেই ভয়াল দুঃশাসন, অত্যাচার-নির্যাতন, হাওয়া ভবনের কথা কী দেশের জনগণ ভুলে যাবে? কেন দেশের জনগণ তাদের পাশে থাকবে? এ সময় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের টানা তিন বছরের মেয়াদে দেশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, মহামারীর মধ্যে দেশের এখন মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলারের কাছাকাছি। গ্রামের একদম তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিয়ে গেছি।

বিএনপির নীতি ছিল খাদ্য ঘাটতি দেখিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষা নিয়ে চলা। আর আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে ভিক্ষা নেব না, নিজেরা ফসল ফলিয়ে নিজেরা চলবো, আত্মমর্যাদা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবো। আমরা তা করতে পেরেছি। এ সময় তিনি দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি না থাকে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমরা নিজেদের ফসল নিজেরা ফলাবো।
বিশ্বের উন্নত দেশ যেটা পারেনি, করোনা ভ্যাকসিন ও টেস্ট বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশও করোনার ভ্যাকসিন জনগণকে বিনামূল্যে দিতে পারেনি। আমরা তা দিয়েছি। বুষ্টার ডোজ চলছে। এখন বাচ্চা-শিশুদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ভ্যাকসিনই নয়, করোনার টেস্টও বিনামূল্যে করা হচ্ছে। একেকটা ভ্যাকসিন ও করোনা টেস্ট করতে হাজার হাজার টাকা খরচ হয়। সেটি আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। কারণ আমাদের কাছে দেশের মানুষের জীবন রক্ষায় হচ্ছে বড় ব্যাপার। এমন অবস্থায় যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো তবে ভ্যাকসিনের অভাবে লাশের পর লাশ পড়ে থাকতো। টিকা তো দূরের কথা, ওই টিকা কিনতে গিয়ে টাকা হাওয়া ভবনে হাওয়া হয়ে যেত। মানুষ না খেয়ে মারা যেতো। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা এমন কোনও শ্রেণী পেশার মানুষ নাই, যাদের আর্থিক সহায়তা দেইনি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়া জড়িত, খালেদাও জানতেনঃ
বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যা কান্ডে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত দাবী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনী ফারুক-রশীদ বিবিসিতে সাক্ষাতকার দিয়েই এ কথা স্বীকার করেছে। খুনী মুশতাক অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জিয়াকে সেনাপ্রধান করে। মুশতাক-জিয়া এসব হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। কেননা গণভবন থেকে টেলিফোন করে খুনীদের কারাগারে প্রবেশ করতে দিয়ে বাধ্য করা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বলা হয়েছিল এটি একটি পারিবারিক হত্যাকান্ড। কিন্তু জেল হত্যাকান্ডের পর দেশবাসীর কাছে পরিস্কার হয় এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতেই এটা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইনডেমনিটি এবং পাকিস্তানি সরকারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে লিবিয়াতে খুনীদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিল এই জিয়াউর রহমান। খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার-আলবদরদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু জিয়া সংবিধান সংশোধন করে তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে, মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে জিয়া-এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে অবৈধ বলে রায় দেয়। তাহলে তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দল গঠন করা হয়, সেই দলও তো অবৈধ হয়ে যায়। অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে জিয়া প্রতিরাতে জোড়ায় জোড়ায় বিনা বিচারে ফাঁসি দিয়েছে, হাজার হাজার সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সৈনিকদের হত্যা করেছে। আমাদের দেশে অনেক আছেন যারা নিজেদের জ্ঞানী-গুণী, বুদ্ধিজীবী বলে দাবী করে। তারাও ওই সময় বলার চেষ্টা করেছে জিয়া নাকি গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে! যে সংবিধান ও সামরিক আইন লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে, সে গণতন্ত্র দেয় কীভাবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদও খুনী ফারুককে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে। খালেদা জিয়া আরও একধাপ উপরে। ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে খুনী রশীদ-হুদাকে এমপি বানিয়ে সংসদে বসায়। যুদ্ধাপরাধীদের দায়ে যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের অনেকেই ছিল খালেদা জিয়ার ক্যাবিনেটের মন্ত্রী।

আর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও জড়িত। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত এটা খালেদা জিয়াও জানতেন বলেই খুনীদের রক্ষায় নানা চেষ্টা করেছেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জাতির পিতার খুনীদের জিয়াউর রহমান বিদেশে চাকরী দিয়ে পুনর্বাসিত করলেও একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের বের করে দেয়। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া যখন বিচারের রায়ের তারিখ পড়েছে খুনী বিচারের কাঠগড়ায়, সেই সময় খুনী খায়রুজ্জামানকে যে ৩ নভেম্বর জেলহত্যায়ও জড়িত তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরী এবং প্রমোশন দেয় এবং মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার করেও পাঠায়।

খুনী পাশাকে বিদেশে মৃত অবস্থায় প্রমোশন দেয় এবং তার ভাতা ও সবধরনের বেনিফিট পরিবারকে দেয়। তাহলে কি করে অস্বীকার করবে এই হতাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত নয়। ৩ নভেম্বর বা ১৫ আগষ্টের হত্যার সঙ্গে জিয়া যে জড়িত নয় তা কিভাবে অস্বীকার করবে?

ক্ষমতায় থাকাকালিন অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে নির্যাতন ও হত্যা এবং তাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই তছনছ এবং ফাইলপত্র ও কম্পিউটার সিজ করে নেয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্টির কাজও করতে দেবেনা। এই হলো খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের নমুনা। আমাদের দলের ওপর যে অত্যাচার তারা করেছে কই আমরাতো তার প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা আইনগতভাবেই যা করার করেছি।

খুনীদের বিচার করেছি, আর খুনীদের তারা রক্ষা করেছে। তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, বঙ্গবন্ধুর ভাষায়- আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে।