বলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা দীপিকা জামায়াতের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর

    0
    448

         ॥ ফখরুল ইসলাম ফোকন ॥   Deepika      

    হাল আমলের বলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা দিপীকা পাডুকোন নাকি বাংলাদেশে জামায়াতের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। দিল্লীর সঙ্গে একটি চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দিপীকার সাহায্য নিচ্ছে জামায়াত। বিনিময়ে দিপীকাও পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক। বিষয়টি নিয়ে মুম্বাই-দিল্লীর বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। তা নিশ্চিত করেছে ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার সূত্রগুলো।

    সূত্রমতে, ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জন্মগ্রহণকারী দিপীকা পাডুকোন কেবলমাত্র তার গ্ল্যামার বা অভিনেত্রী ইমেজের জন্য নয়; ‘আকর্ষনীয়” ব্যক্তিত্ব ও আভিজাত্যপূর্ণ ব্যবহারের দ্বারা নাকি ইতিমধ্যেই ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবীদদের সঙ্গে চমৎকার সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট, বিরোধী বিজেপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী  রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দিপীকার নাকি রয়েছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কথা দিল্লী-মুম্বাইয়ের সংশ্লিষ্ট সকলেই নাকি জানেন। বলা হয়েছে দীপিকার নাকি কোনো স্ক্যান্ডাল নাই এবং তিনি আর দশটা নায়িকার মতো নন। যে কারণে তিনি নাকি ভারতের রাজনৈতিক জগতে যথেষ্ট প্রভাবশালী।

    তথ্য দেয়া হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে নাকি ব্যাপক সময় দিচ্ছেন দিপীকা। একই সঙ্গে তিনি নাকি দেশ-বিদেশের সেই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন, যাদের কিনা ভারতের সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। এই সব টেষ্টিমোনিয়ালের ভিত্তিতে নাকি ইদানিং দিপীকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হয়েছেন!

    আরও খবর হল, ইতোমধ্যেই নাকি দীপিকা জামায়াতের পক্ষে দিল্লীর বিভিন্ন উঁচু মহলে একাধিক বৈঠক করেছেন। ঢাকার কূটনৈতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ ও আলোচনা চাউড় হয়েছে।

    সূত্রমতে, অভিনয়ের পাশাপাশি সম্পদ অর্জনে দীপিকার কৌশলের নাকি কোন জুড়ি নেই। লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি ‘বহুদূর’ যেতে পারেন। বেশ কয়েক কোটি রুপির একটি এপার্টমেন্ট বাগাতে তিনি বিজয় মালিয়ার ছেলে সিদ্ধার্থ মালিয়ার সাথে দীর্ঘদিন প্রকাশ্যেই লিভ টুগেদার করেছেন। শুধু ঐ এপার্টমেন্ট নয়, তার একাধিক এপার্টমেন্ট ও অঢেল অঘোষিত গুপ্ত সম্পদের জন্য তার পিছনে আয়করের লোকেরা লেগেছিল। তখন তিনি সাময়িক আত্মগোপনেও ছিলেন। বিজয়মালিয়ার কিংফিশার সাম্রাজ্যে যে সঙ্কট তৈরী হয়েছিল এবং এখনও চলছে, তার জন্য অনেক কারণের একটি কারণ তার ছেলে সিদ্ধার্থের ‘দীপিকা ফেভিকলে” আটকা পড়া। ঐ সময় সিদ্ধার্থ ব্যবসার খোঁজ-খবর নেয়া নাকি একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

    সূত্রমতে, বোম্বে জগতে যার যত বেশী ক্লীন ইমেজ তার তত দ্রুত ধরণীপ্রপাত। ফলে ক্লীন ইমজে নয়, যার যত বেশী “বিশেষ প্রভাব” তার তত বেশী তরতর করে এগিয়ে যাওয়া। অন্যান্য টপ নায়িকাদের মত দীপিকার “বিশেষ প্রভাব” নিয়ে কারও অবশ্য কোন সন্দেহ নেই।

    deepika_padukone