ফলোআপঃ তাহিরপুরে সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় প্রধান গ্রেপ্তার,বাকিরা পলাতক

0
640
ফলোআপঃ তাহিরপুরে সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় প্রধান গ্রেপ্তার,বাকিরা পলাতক


নিজস্ব প্রতিবেদক,সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাত,পা ও মুখ বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলায় প্রধান আসামী স্বামী আবু তাহের জান্নাতকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানিয় থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আবু তাহের জান্নাত দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (৩,আগস্ট ২০২১) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জেলার দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার (বর্তমানে নতুন নামকরন শান্তিগঞ্জ উপজেলা) ডুংরিয়া গ্রামের বাজারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল আবেদীন।
এসআই জয়নাল আবেদীন আরও জানান,জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবু তাহের জান্নাতকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। হত্যার চেষ্টায় স্বামী,শশুর,দেবরসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে গত শনিবার (৩১ জুলাই ২০২১) দিবাগত রাত ১২ টার পরে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে দায়ের করে। মামলা নং ১,তারিখ ০১,০৮,২০২১ইং।


এ দিকে,মামলার প্রধান আসামী আবু তাহের আটক হলেও মামলার অপর ৪ আসামী জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের সাজিদুল মিয়া (আবু তাহের জান্নাত এর বাবা),দুই দেবর জাকির হোসেন (২২) ও বাবুল মিয়া (২৫) এবং ননাই গ্রামের মামা শশুর আলী হোসেন (৪০)পলাতক রয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, র্দীঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর গত ৮ মাস পূর্বে মাইফুল নেছার (২৩)সাথে আবু তাহের জান্নাতের (২৮)সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী আবু তাহের জান্নাত শশুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী ভোলাখালি গ্রামের এক ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে সংসার করার পাশাপাশি পাশেই একটি ঘরে পোল্ট্রি মোরগের ব্যবসা শুরু করে তার বাবা ও দু ভাইকে নিয়ে। ৪-৫মাস ভাল সংসার চলার পর মাস খানেক ধরে মাইফুলকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিল স্বামী আবু তাহের। কিন্তু টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাইফুল নেছাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। কিছু দিন পূর্বে বিষ খাইয়ে মেরেও ফেলতে চেয়েছিল এনিয়ে বিচার শালিসেও দোষীও হয় স্বামী আবু তাহের। পরে মাইফুল বাবার বাড়িতে চলে যায়।

এরপর গত শুক্রবার (৩০ জুলাই ২০২১) রাত ৮টায় মেয়ে নিজ বাড়িতে টয়লেট গেলে মেয়ের স্বামী,শশুর ও দেবররা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে মুখ চেপে ধরে হাত,পা বেধেঁ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পাশে বাড়ির পাশে ভাঙ্গার খাল নদীতে ফেলে দেয়। মেয়ের আসতে দেরী দেখে বাড়ি থেকে বের হয় সবাই। তখন গুংগানির শব্দ শুনতে পেয়ে পাশের বাড়ির আবুল হোসেন নদী কিনারে পানি ও কাঁদার মধ্যে থাকা অবস্থায় বস্তার মুখ খুলে মাইফুলকে দেখে চিৎকার দিলেই সবাই ঝড়ো হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় হত্যার চেষ্টায় স্বামী,শশুর,দেবরসহ ৫জনকে অভিযুক্ত করে গত শনিবার দিন গত রাত ১২টার পরে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে দায়ের করে। মামলা নং ১,তারিখ ০১,০৮,২০২১ইং। মাইফুল নেছা উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদালারপাড় গ্রামে কারী মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে। এই ঘটনায় এলাকায় জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।