পাহাড়ী ঢলে নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউপির ব্যাপক ক্ষতি

    0
    242

    কর্মহীন হয়ে পড়েছে বালু ও পাথর শ্রমিক

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বির: গত ৪ দিনের টানা বর্ষণ ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। নি¤œা ল প্লাবিত হওয়ায় নিজপাট জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষাতি সাধিত হয়েছে। এছাড়া টানা বর্ষনের ফলে শ্রীপুর, রংপানি, সারী ও বড়গাং পাথর এবং বালু কোয়ারী প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক বেকায় হয়ে পড়েছে।

    সরেজমিনে গতকাল ১লা এপ্রিল শনিবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে গত ৪দিনের টানা বর্ষনে এবং পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে গত ৩১ মার্চেরে চেয়ে জৈন্তাপুর ও নিজপাট ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রাম ও মহাসড়কের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম কাঁচা ও পাকা রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সেই সাথে কৃষকরা হারিয়েছেন মাঠের সেনালী ফসল ধান, কাঁচা পাকা সব্জি। আগত বন্যায় রোরো ধানের ব্যাপক হারে ক্ষতি সাধিত হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। বৃষ্টি না থামায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারী বেড়ী বাঁধ প্রকল্পেরে অফিস সহকারী জানান সকাল ৬টায় সারী নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি অবস্থান করছিল। বিকাল ৬টায় ভারী বর্ষণ বন্ধ হওয়ায় বিপদ সীমার নিচে ০৮ সেন্টিমিটারে পানী অবস্থান করছে বলে তিনি জানান। অপরদিকে শ্রীপুর, রংপানি, সারী ও বড়গাং পাথর এবং বালু কোয়ারী কর্মরত প্রায় ৩০হাজার শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় দিনযাপন করছে। বৃষ্টি না থামলে এসকল শ্রমিকের পরিবারে নেমে আসবে হাহাকার এমননি কথা বললেন শ্রমিকনেতারা।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ জানান- জৈন্তাপুর ও নিজপাট সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন। সেই সাথে মেঘালয়ের অন্যতম বৃষ্টিপাত অ ল ভারতের চেরা পুঞ্জি। তাই টানা বৃষ্টি হলে ২টি ইউনিয়ন নিচু হওয়ার ফলে পাহাড়ী ঢলে দ্রুত তলিয়ে যায় এবং জৈন্তাপুরে বিগত কয়েকদিনের টানা বর্ষনে বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নি¤œা ল প্লাবিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি থামলে পানি দ্রুত সরে যাবে বলেও তিনি জানান।