পরীক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে হরতাল না দিতে সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রীর

    0
    436

    এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে হরতাল না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রয়োজনে রাতে হরতাল করুন। Edu Minister

    হরতালের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “এসএসসি পরীক্ষার আগে হরতাল না দিতে আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা হরতাল দিয়েছে। এতে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত।”

    পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে হরতালের কর্মসূচি দেয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে নাহিদ বলেন, “যদি হরতাল করতে হয় রাতে হরতাল করুন। রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত হরতাল দেন। আমাদের অসুবিধা নেই।”

    এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল থাকায় পরীক্ষা গ্রহণে বেশি সময় লেগেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পারলে তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়, মন ভেঙে যায়, উৎসাহ কমে যায়।”

    চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাঁচ দিন হরতালের মধ্যে পড়ে। ফলে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে দাখিল ভোকেশনাল ও এসএসসি ভোকেশনালের মোট ৩৭টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।

    ১০ লাখ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দেবে, তারা তো কোনো দলের নয়।

    বিরোধীদলের এক নেতা এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যেও হরতাল দেবেন বলে সম্প্রতি বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, “পরীক্ষার মধ্যে হরতাল হয়, আগে কেউ এ ধরনের কর্মসূচি দেখেনি। পরীক্ষার মধ্যে আবারো হরতাল দেবে এমন বক্তব্যও আগে কোনো রাজনৈতিক নেতা দেননি।”

    তিনি বলেন, আগে থেকেই পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা আছে। পরীক্ষার সময় হরতালে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

    পরীক্ষার সময় কর্মসূচি না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দশ লাখ পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত করবেন না। দয়া করে এমন কোনো কর্মসূচি দেবেন না যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বেড়ে উঠতে বাঁধার সৃষ্টি করে।

    শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে হরতাল না দিতে সব রাজনৈতিক দলকে আবারো অনুরোধ করেন।

    পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেক জাগ্রত হবে বলেও আশা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সরকারকেও নিজ নিজ ক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যেন আমরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারি।”

    এইচএসসি পরীক্ষার সময় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

    চলতি বছর আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ভোকেশনাল/বিএম ও ডিআইবিএসে মোট ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন পরীক্ষা দেবে।

    আগামী ১ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্ন্ত তত্ত্বীয় এবং ১ থেকে ১৪ জুন ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।