নড়াইলের কালিয়ার ২ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪জন আহত

    0
    238

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮ ডিসেম্বর,নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন চলাকালে উপজেলার চাঁচুড়ী ইউপি ও পুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪জনকে পিটিয়ে আহত করেছে এলাকাবাসী। ২৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী ইউপি চেয়্যারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরোক, পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি, একই এলাকার রওশন কাজী ও সরোয়ার ভুইয়া। আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
    পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহন চলাকালে চাঁচুড়ী ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরোক ও পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনিসহ ৪ জন নির্বাচনী এলাকায় (বোমবাগ) প্রবেশ করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশে বাধা দিলে বচসা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতার হামলার ২ চেয়ারম্যানসহ ৪জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
    রির্টানিং অফিসার ও কালিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, ভোট কেন্দ্রের বাইরে কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে বহিরাগতরা নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করে থাকলে তাঁরা আচারণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন।
    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে জেলার কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্তু ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন চলবে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী পলি বেগম (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (আনারস) প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচনে ১১ হাজার ৪’শ ৭৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭’শ ৪৫ জন পুরুষ এবং ৫ হাজার ৭’শ ৩৪ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। আইন শৃংখলা রক্ষায় আনসার, পুলিশ, র‌্যাব এবং ম্যাজিস্ট্রেটগন দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম।
    প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগষ্ট ভোরে কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ হোসেন মোল্যা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য হয়। এঘটনায় পলি বেগম বাদী হয়ে মুন্সী গোলাম মোহাম্মদকে প্রধান আসামী করে দিঘলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।