ন্যায্য ভাড়া স্থায়ী স্ট্যান্ডঃ নির্যাতন বন্ধের দাবি শ্রমিক সংঘের

    0
    224

    আমারসিলেট24ডটকম,২৮ডিসেম্বরঃ মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক সংঘের এক সভা ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রবীণ রিকশা শ্রমিক নেতা মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫-এর সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান সোহেল ও মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক সংঘের সভাপতি সোহেল আহমেদ। সভায় বক্তব্য রাখেন রিক্সা শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, বড়হাট অঞ্চলের নেতা মোঃ জোনাব আলী, কুসুমবাগ অঞ্চলের নেতা কিসমত মিয়া, কালেঙ্গা আঞ্চলিক শাখার নেতা মোঃ মোস্তফা কামাল, রিকশা শ্রমিক সংঘের সদস্য সঞ্জয় কর, মোঃ কাইয়ূম, রুবেল মিয়া, মোঃ আল আমিন মিয়া, মোঃ মুক্তার আলী, মোঃ শাহজাহান মিয়া, গনেশ চন্দ্র রায়, মোঃ আজিজ মিয়া, মাযু মিয়া, মোস্তফা মিয়া প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন রিকশা শ্রমিকরা প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত প্রখর রোদ, ঝড়বৃষ্টি ও হাড় কাপানো শীতের মধ্যে অমানুষিক পরিশ্রম করে দুঃখ কষ্টের জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। গ্রাম্য জোতদার মহাজনের শোষণে জমি-জমা হারিয়ে জীবিকার তাগিতে শহরে এসে মধ্যযুগীয় কায়দায় মানুষ হয়ে মানুষ টেনে নেওয়ার মত অমানবিক পেশার মাধ্যমে যাত্রী সাধারণের সেবা করলেও তার প্রতিদানে রিকশা শ্রমিকরা ন্যায্য ভাড়া পান না। ২০০৭ সালে রিকশা শ্রমিকদের সাথে কোন রকম আলোচনা না করে পৌরসভা কর্তৃক মৌলভীবাজার শহরে  ভাড়া নির্ধারণ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ার তালিকা টাঙ্গানো হয়, যা সেই সময়েই বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। এরপর চাল, আটা, ডাল, তেল, লবন, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কছেশগুণ বাড়ালেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নতুন ভাড়ার তালিকা দেন নাই। এমতাবস্থায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে রিকশা শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই সাথে যথাযথ ভাড়া নির্ধারণ না করায় যাত্রী সাধারণের সাথে ভাড়া নিয়ে  বাদানুবাদ লেগেই থাকে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে রিকশা শ্রমিকদের শাররিক লাঞ্চনার শিকার হতে হয়। তাছাড়া কোন কোন যাত্রী যাত্রা পথে এক মিনিটের কথা বলে রিকশা থামিয়ে সময় ক্ষেপন করলেও সেই অনুপাতে ন্যায্য ভাড়া পরিশোধ করেন না। একশ্রেণীর যাত্রীর জোরপূর্বক রিকশায় উঠা, এক জায়গার কথা বলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া, দুই জনের অতিরিক্ত যাত্রী বহনে বাধ্য করা ইত্যাদি সহ্য করে রিকশা শ্রমিকদের চলতে হয়। ট্রাফিক পুলিশ কর্র্তৃক অন্যায়ভাবে মারধোর, হাওয়া ছেড়ে দেওয়াসহ অন্যান্য পরিবহণের শ্রমিক, দোকানদার, পথচারীদের সাথে কোন ঘটনা ঘটলেই ন্যায়-অন্যায় বিচার না করে রিকশা শ্রমিকদের উপর জুলুম নির্যাতন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যাত্রী উঠা নামার সুবিধাজনক রিকশা স্ট্যঠহুগুলোও ইজিবাইক, মিশুক, সিএনজি, মাইাক্রোবাস, হকার, ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে দোকান বা মার্কেটের সামনে যাত্রী উঠা-নামা করতে হয়। ফলে একদিকে যেমন দোকান বা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সমস্যা হয় অন্যদিকে রিকশা শ্রমিকদেরও সংশ্লিস্টদের তাড়া খেয়ে চলতে হয়। বক্তরা অবিলম্বে রিকশা শ্রমিকদের জন্য বর্তমান বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ, রিকশা রাখার জন্য সুবিধাজনক স্থানে স্থায়ী স্ট্যান্ড স্থাপন ও কথায় কথায় রিকশা শ্রমিকদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার জোর দাবি জানান।