নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও জেনারেটারই ভবন ধসের জন্য দায়ী: তদন্ত প্রতিবেদন

    1
    476

    ঢাকা, ০২ মে : সাভারে রানা প্লাজা ট্রাজেডির ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও জেনারেটারকে ভবন ধসের জন্য দায়ী করে বলা হয়েছে, রানা প্লাজার নকশা ও লে আউট প্ল্যান অনুমোদনে সাভার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে বিধি বিধান অনুসরণ করেনি। এজন্য সাভার পৌরসভার মেয়র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়ী করা হয়েছে। একই কারণে আজ বৃহস্পতিবার সাভার পৌর মেয়র রেফাতউল্লাহকে সাময়িকভবে বরখাস্তও করা হয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ভবন ধসে পড়ার কারণ হিসেবে নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারকে দায়ী করেছে। এছাড়া ভারী যন্ত্রপাতির সঙ্গে জেনারেটর ব্যবহারও ধসকে ত্বরান্বিত করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনার তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মাইন উদ্দিন খন্দকার এ তথ্য জানান।
    সাভারের ভবন ধসের পরপরই গত ২৪ এপ্রিল মাইন উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা পুলিশ সুপার, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশের পরিচালক, ঢাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিব।
    মাইন উদ্দিন বলেন, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি তৈরি হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া ভবনের ওপরের কয়েকটি তলায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভারী জেনারেটর ব্যবহার করা হতো। এতে ওই ভবনে তীব্র কম্পনের সৃষ্টি হয়। এটাও ভবন ধসের অন্যতম একটি কারণ। রানা প্লাজা ধসে পড়ার সময়েও জেনারেটর চলছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যুৎ চলে যায়। একযোগে কয়েকটি জেনারেটর চালু হয়। যেগুলো ভবনের বিভিন্ন তলায় ছিল।
    মাইন উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিলো। তবে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসমস্তূপ সরানোর কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পরই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
    তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে মাইন উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃতদের সঙ্গেও কথা বলবো। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, ভবনে থাকা কারখানাগুলোর চার মালিক এবং সাভার পৌরসভার তিন প্রকৌশলীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।