নাশকতায় লন্ডভন্ড সাতক্ষীরায় যাচ্ছেন আজ প্রধানমন্ত্রী

    0
    220

    আমারসিলেট24ডটকম,২০জানুয়ারীঃ সদ্য গত ১০ম জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর শেখ হাসিনার এটিই কোনো জেলা শহরে প্রথম সরকারি সফর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেয়া হয়েছে গোটা সাতক্ষীরাকে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় নিরলসভাবে কাজ করছেন। শহরের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সন্দেহ হলেই চালানো হচ্ছে তল্লাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোতে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সাতক্ষীরার সর্বত্র চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেয়ার আয়োজন।

      গ্রাম-গ্রামান্তরে আওয়ামী লীগসহ উন্নয়নকামী সকল স্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের প্রতীক্ষায়। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ, সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
    গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য ও নাশকতায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ জনপদ। কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে ২১ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। জামায়াত-শিবিরের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় জেলার ৪৫টি সংখ্যালঘুসহ শতাধিক ব্যক্তির ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
    জামায়াত-শিবিরের হামলায় আহত হয়েছে শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। জামায়াত-শিবিরের অত্যাচার নির্যাতনের মুখে এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়ে আওয়ামী-লীগের নেতাকর্মীরা।
    ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের রাতে জেলার সর্বত্র বোমা-ককটেল ফাটিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালায় জামায়াত-শিবির। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত-শিবিরের ভয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে শহরে আশ্রয় নেন।
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সেই সব জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকায় আবারো জেগে উঠেছে সাধারণ মানুষ। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা কৃষকলীগ, জেলা শ্রমিকলীগ, জেলা সৈনিকলীগ, জেলা মহিলালীগ, জেলা বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আনন্দ মিছিল ও পৃথক পৃথকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
    নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেয়া হয়েছে গোটা সাতক্ষীরাকে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় নিরলসভাবে কাজ করছেন। শহরের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সন্দেহ হলেই চালানো হচ্ছে তল্লাসী। জামায়াত-শিবিরের তান্ডব থেকে চিরমুক্তি পেতে সাতক্ষীরায় চলছে চিরুনী অভিযান। ইতোমধ্যে জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষ জেগে উঠার কারণে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মিছিলে মিছিলে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত সাতক্ষীরার আকাশ বাতাস।
    ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় যাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা দেবেন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছ।