নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

0
875
নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান চৌধুরী
নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান চৌধুরী

নূরুজ্জামান ফারুকী, নবীগঞ্জঃ নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান চৌধুরী এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার সুবাদে অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলী প্রতিষ্ঠানের চেক জালিয়াতি করে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। একাডেমীর নামে জনতা ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখায় একটি যৌথ একাউন্ট খোলা হয়। সেই হিসাবের চেকটিতে প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান চৌধুরীর স্বাক্ষর জাল করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলী।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীকে প্রধান অভিযুক্ত করে অপর সহযোগি ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান চৌধুরী। একাডেমীর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার জন্য সভাপতির নামে মাসিক ৬ হাজার টাকা সম্মানীসহ একাডেমীর উন্নয়নের স্বার্থে একটি সভা আহবান করা হয়। ১৪ সদস্য বিশিষ্ট ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য ওই সভায় উপস্থিত থাকার পর রেজুলেশন খাতায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ৬ হাজার টাকা সম্মানি দিতে হবে এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই সভায় উপস্থিত ৮ জন সদস্য ওই রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করেননি। সভায় কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ার পরও সভাপতি তার একক ক্ষমতা বলে বাদীকে ভয় দেখিয়ে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা অবৈধ ভাবে উত্তোলন করেন। এর প্রতিবাদ করলে সভাপতি মোঃ সফর আলী বলেন, আমি সভাপতি আমার যা ইচ্ছা তাই করতে পারব।

এ বিষয়ে আবুল হাসান চৌধুরী জানান, প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত আইনজীবির মাধ্যমে ১ম আসামীকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানের আতœসাৎকৃত যাবতীয় টাকা পরিশোধের কথা জানালে সকল আসামীগণ প্রতিষ্ঠানে এসে আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। আসামী কৃপেশ চন্দ্র দেব ১৫ দিনের মধ্যে মামলা তুললে আমাকে মেরে ফেলা হুমকী দেন। কৃপেশ চন্দ্র দেব আমাকে বলেন ‘তুই ঘর থেকে বাহির হলে তোকে প্রাণে হত্যা করব, বাচতে চাইলে মামলা তুলে নে’। মামলার স্বাক্ষী হওয়ার কারনে খালিকুজ্জামান (এডিসন) স্যারকে মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় দিয়ে মান সম্মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এই চক্র। এছাড়াও আমার অভিযোগের অন্যান্য স্বাক্ষীদের হুমকী ও হয়রানী করে আসছে। আমার নামেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, সাবেক এমপি নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা এম এ মুমিন চৌধুরী বাবু ও সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ এর মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি করার জন্য তারিখ করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলী এড়িয়ে যান। নবীগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম পরিবর্তন করে নবীগঞ্জ কলেজ স্কুল করার জন্য সফর আলী গংরা উঠে পরে লেগেছে। আমি জেলা প্রসাশকের কাছে প্রত্যয়ন পত্র আনার জন্য আবেদন করলে তারা বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করে। গত ৯ ফেব্রুয়ারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল্লাহ একাডেমী পরিদর্শন করেন। এবং প্রত্যয়ন পত্র দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সিলেট বোর্ড থেকে একাডেমীর প্রাথমিক অনুমতি আনার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা এতেও বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। আমাকে তারা গৃহবন্দী করে রেখেছে আমি তদন্ত পূর্বক এর সুবিচারের দাবি জানাচ্ছি।