নবীগঞ্জে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ

0
867
নবীগঞ্জে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ
নবীগঞ্জে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ

নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে জোরপূর্বক স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত হওয়া ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে গত ১৬ মার্চ হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা টি দায়ের করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হচ্ছে-নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সফর আলী (৫৫), গয়াহরি গ্রামের মৃত উমাচরণ দেব এর ছেলে কৃপেশ চন্দ্র দেব (৪৮) ও লাখাই উপজেলার ভাদিকারা গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র ফজলে এলাহী ফরহাদ। মামলা সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের পার্শ্বে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু একাডেমী সুনামের সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিল। হঠাৎ একদিন মামলার প্রধান আসামী মোঃ সফর আলী সঙ্গীয় কয়েকজন নিয়ে একাডেমীতে উপস্থিত হয়ে একাডেমীর অধ্যক্ষ ও মামলার বাদীকে বলেন, বিদ্যালয় চালাতে হবে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। তাই আমাকে সভাপতি মনোনীত করে একটি কমিটি তৈরী কর। এ সময় একাডেমীর অধ্যক্ষ বলেন, ম্যানেজিং কমিটি করতে হলে উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। তখন অধ্যক্ষকে গালিগালাজ করে তারা চলে যায়।
পরে ২০১৯ইং সনের ১০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে আসামীগণ বঙ্গবন্ধু একাডেমীতে আসেন। তখন অধ্যক্ষকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে তাদের হাতে থাকা খাতায় একটি রেজুলেশন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সভাপতি হন মোঃ সফর আলী। একই সাথে মামলার আসামী কৃপেশ চন্দ্র দেব ও ফজলে এলাহী ফরহাদ কমিটির সদস্য মনোনীত হন। একই বছরের ৬ মার্চ আসামীগণ নিজে নিজেরাই সভাপতির নামে মাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা সিদ্ধাত্ত গ্রহণ করে উত্তোলন করেন। এক মাসের মধ্যে সভাপতি তাঁর সম্মানি ৬ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৭ হাজার টাকায় উন্নতি করেন এবং একই সাথে বৈশাখী ভাতা, পূজার উৎসব ভাতা ও ঈদ উৎসব ভাতা অধ্যক্ষর নিকট থেকে চাপ সৃষ্টি করে সফর আলী ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ভাতাদি উত্তোলন করেন। পরে সফর আলী সহ কয়েকজন ব্যক্তি সকল আসামী বঙ্গবন্ধু একাডেমীতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামীয় চেক বই নিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ’র স্বাক্ষর জাল করে প্রতিষ্ঠানের নামীয় একাউন্ট থেকে ২৮ মার্চ ২০১৯ইং তারিখে ৩৮ হাজার টাকা ১১ এপ্রিল ২০১৯ইং তারিখে ১৫ হাজার টাকা ও সর্ব মোট ৫৩ হাজার টাকা উত্তোল করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমি উক্ত টাকা উত্তোলন ও চেক বই সম্পর্কে জানতে চাইলে সফর আলী বলেন, আমি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। আমি যা ইচ্ছা তাই করব। ওই চেক বইটি এখন সফর আলীর নিকট রয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে আইনজীবির মাধ্যমে সফর আলীকে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় টাকা পরিশোধের কথা বললে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সফর আলী সহ সকল আসামী বঙ্গবন্ধু একাডেমীতে এসে লেনদেনের কথা অস্বীকার করে এবং প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আরজিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জায়াতি ও প্রতারণা মাধ্যমে আসামীগণ প্রতিষ্ঠানের ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে।