নবীগঞ্জে চলছে জমজমাট প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য 

0
355
নবীগঞ্জে চলছে জমজমাট প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য 
নবীগঞ্জে চলছে জমজমাট প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য 

নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে ডাঃ মোস্তফা ইন্টার ন্যাশনাল স্কুলে চলছে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য! নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পড়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থী। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। নিয়মনীতির যেন কোনো তোয়াক্কাই নেই। এতে করে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে এসব শিক্ষার্থীরা।

নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দার কান্দি ডাঃ মোস্তফা ইন্টার ন্যাশনাল স্কুলে বৃহস্পতিবার (১০মার্চ ২০২২) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মান্দার কান্দি এলাকায় ডাঃ মোস্তফা ইন্টার ন্যাশনাল স্কুলে সকাল ৮.৩০ ঘটিকা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত  প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে প্রাইভেট কোচিং সেন্টার।

প্রতিমাসে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫ শত টাকা করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দার কান্দি গ্রামের ডাঃ মোস্তফা ইন্টার ন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর সহযোগিতায় এই স্কুলের শিক্ষিকা মান্দার কান্দি গ্রামের শাহিনুর মিয়ার স্ত্রী ফারহানা আক্তার পরিচালনা করে আসছেন এই কোচিং সেন্টারটি।

এদিকে সরকারের সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাইভেট কোচিং সেন্টার চালু থাকায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। সচেতন মহল মনে করছেন এভাবে কোচিং সেন্টার চললে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে এসব শিক্ষার্থীদের। করোনার ঝুঁকি নিয়ে কোচিং সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অভিভাবকদের দায়িত্বে অবহেলা ও খামখেয়ালীপনা মনে করছেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে ডাঃ মোস্তফা ইন্টার ন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রাইভেট কোচিং পড়ানো হচ্ছে বলে জানান।

এছাড়া ও এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট কোচিং সেন্টার চলছে বলে ও দাবি করেন তিনি। তিনি এই প্রতিবেদককে আরো বলেন, আপনে কেন আমাদের শিক্ষিকা ফারহানা আক্তারকে কল দিয়ে বিরক্ত করছেন? তিনিকে এই বিষয়ে বক্তব্যর জন্য কল দিয়ে ছিলাম। পরে তিনি আরো বলেন,  কোনো পত্রিকায় এই সংবাদটি প্রকাশ করা হলে সাংবাদিকদের দেখে নেবেন। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে এই প্রতিবেদককে বলেন, সংবাদ প্রকাশে তার কিছুই হবে না।

এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ এই প্রতিবেদককে বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাদেক হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, কোচিং সেন্টারের বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর এই করোনা পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই কোচিং সেন্টার চালু রাখার নিয়ম নেই। যারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।