জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের আলীফর উল্লার পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মাহিদ মিয়া গত শুক্রবার নারায়নগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি প্রজাতপুর গ্রামে আসে। বাড়ীতে এসে সে গ্রামে অবাধে চলাফেরা করে। ধর্মমন্ত্রণালয় কর্তৃক তারাবী নামাজে ১২ জনের বেশী মুসল্লী নামাজ না পড়তে বিধিনিষেধ দেয়া হলেও মাহিদ প্রথম রোজা থেকেই গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়ে আসছে।
এমন অবস্থায় গত ২রমজান সন্ধায় একই গ্রামের মৃত ছাও মিয়ার পুত্র মইনুল ইসলাম মাহিদকে ঘর থেকে বের না হয়ে সরকারের নির্দেশনা মেনে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে অনুরোধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহিদ বলে আমি কোথায় থাকবো না থাকবো তাতে তোর কি। এ নিয়ে দুজনের মধ্য তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় মাহিদের পক্ষ নেয় তার সঙ্গী শাহিন আহমদ বসুর ও নুর আলম। তারা মইনুলের উপর আক্রমন করতে চাইলে গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, স্বপন মিয়াসহ কয়েকজন লোক আসলে আক্রমনকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায় মইনুল।
এর জের ধরে মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে শাহিন আহমেদ বসুর ও মঈন উদ্দিনের ছেলে নুর আলমের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাহিদসহ তার অন্যান্য লোকজন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে শজ্জিত হয়ে গত বুধবার (২৯এপ্রিল) ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় মইনুল ইসলাম, তার চাচাতো ভাই স্বপন মিয়া ও সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয় বলে জানাগেছে।