সুজয় কুমার বকসী,জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের গ্রাম পুলিশ বকুল শেখ (৪০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় মুল আসামীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো এজাহার নামীয় ১নং আসামী আজমল শেখ ওরফে জাহিদ শেখ(৩২) ও ২নং আসামি রুবেল শেখ(৩৪)। পৃথক অভিযান চালিয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
শনিবার (৩জুন) বেলা ১১টায় নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংকালে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, দোলন মিয়া, লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দীন সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ হয়, গত ২৮মে রাতে দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের (কুমড়ি) গ্রাম পুলিশ পুলিশ বকুল শেখকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত বকুল শেখ কুমড়ি গ্রামে পূর্ব পাড়ার মৃত বদির শেখের ছেলে। এ ঘটনায় গত ৩০ মে নিহতের ছেলে রমজান শেখ বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের অভিযানে প্রথমেই মামলার ২নং আসামি কুমড়ি গ্রামের আইনাল শেখের ছেলে রুবেল শেখকে(৩৪) গ্রেফতার করে লোহাগড়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রুবেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ১নং আসামী কুমড়ী (পূর্বপাড়া) গ্রামের মোসলেম শেখ ওরফে পাগল কটার ছেলে আজমল শেখ ওরফে জাহিদ শেখকে(৩২) গ্রেফতার করে।
জাহিদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১ টি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে নড়াইল, লোহাগড়া ও নড়াগাতি থানার ক চুরি, দস্যুতা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রাম পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জাহিদ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন আরো জানান, নিহত বকুল শেখ ও আসামিদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ ও জমি-জমা নিয়ে গ্রাম্য শত্রুতা চলে আসছিল।
