দু’কোটি মানুষ মানে কিন্তু মুসলিমরা নয়ঃড.সুজন চক্রবর্তী

    0
    289

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতা ও বিধায়ক ড. সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এনআরসির নাম করে গোটা রাজ্যের মানুষকে আসামি করা হচ্ছে। তিনি বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেছেন।

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নয়াদিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে এনআরসি প্রসঙ্গ উল্লেখ না করায় সুজন বাবু তাঁর সমালোচনা করেছেন।

    সুজন চক্রবর্তী বলেন, এনআরসি নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উদ্বিগ্ন! কথায় কথায় সমস্ত লোক বিপদে পড়ছেন। বিজেপি চেঁচাচ্ছে দু’কোটি মানুষকে (রাজ্য থেকে) ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে। আর দু’কোটি মানুষ মানে কিন্তু মুসলিমরা নয়। এটা ভুল কথা বলা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের পরে কোথা থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছে ? আসেনি। ফলে দু’কোটি মানুষকে ঘাড় ধাক্কা দেয়া হবে তাঁদের যাদের কাছে কাগজ (নথিপত্র) কম। তাঁরা হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে। অসম থেকে সেটা বোঝা যাচ্ছে না? উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলেও এন আরসি নিয়ে কোনও কথা বললেন না। বরং বাইরে বেরিয়ে এসে বললেন ওটা অসমের ব্যাপার পশ্চিমবঙ্গে এখনও কোনও ইস্যু নয়! সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় উনি রেগে গেছেন। এনআরসিতে মানুষ বিরক্ত, বিব্রত। গোটা রাজ্যের মানুষকে এনআরসির নাম করে আসামী করা হচ্ছে! উনি আগামীকাল যার কাছে যাবেন সেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তিনি আসামী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষকে। দিলীপ ঘোষ (রাজ্য বিজেপি সভাপতি) সমস্ত মানুষকে আসামী করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বলে আসতে পারলেন না আমাদের রাজ্য একবার উদ্বাস্তু সমস্যা হয়েছে, বিভাজন হয়েছে। আমাদের কী অপরাধ যে আমাদের রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে এনআরসিকে সামনে রেখে পাঁচ পুরুষ, দশ পুরুষ ধরে যারা এখানে আছে তাঁদের কাগজ নিয়ে টানাটানি করা হচ্ছে! এগুলো অন্যায় অপরাধ। ওই কথাগুলো কেন মমতা বলতে পারলেন না? এনআরসির কথা বলার প্রয়োজন বোধ করলেন না!

    এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লি আসা হয়নি। রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুত্রঃপার্সটুডে