তেলের দাম পুনঃ নির্ধারণঃঅকটেন-১৩৫,পেট্রোল-১৩০,ডিজেল-১১৪

0
247
তেলের দাম পুনঃ নির্ধারণঃঅকটেন-১৩৫,পেট্রোল-১৩০,ডিজেল-১১৪
তেলের দাম পুনঃ নির্ধারণঃঅকটেন-১৩৫,পেট্রোল-১৩০,ডিজেল-১১৪

নুর মোহাম্মদ সাগর, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন, ও অকটেনের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

খবর শোনার পর থেকেই নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টার পর থেকে। জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকে মৌলভীবাজার জেলাসহ সিলেট বিভাগের প্রায় প্রতিটি পেট্রোলপাম্পে বিভিন্ন পরিবহনের পাশাপাশি বাইকারদের ভিড় লেগেছে। সবার মধ্যে জ্বালানী সংগ্রহে কার আগে কে নিবেন এমন অবস্থা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে তেল নেওয়াকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার ও সংবাদ পাওয়া গেছে।

জাতীয় সংবাদের সুত্রে জানা যায়, ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ৩৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

প্রসঙ্গক্রমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা এডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে ( ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।