তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে মিউজিয়ামে চলে গিয়েছেঃসেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

0
201
"ওটা ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন আর নেই, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতীর উপ ৬ লেনের কালনা সেতু পরিদর্শন করতে এসে সড়ক ,পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ,এমপি"

সুজয় বকসী, নড়াইল,নড়াইল প্রতিনিধিঃ বিএনপি প্রতিদিনই তত্ত্বাবধায়কের দিবাস্বপ্ন দেখছে,প্রতিদিনই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন দেখছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদালত ফয়শানা করে দিয়েছে, এটা আমাদের কিছু করার নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে মিউজিয়ামে চলে গিয়েছে। ওটা ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন আর নেই-নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতীর উপ ৬ লেনের কালনা সেতু পরিদর্শন করতে এসে সড়ক ,পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ,এমপি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিনি কালনা সেতু দেখতে আসেন এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে অক্টোবরের যে কোনো দিন কালনা সেতু উদ্বোধন হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মতুর্জা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসলাম আলী, গোপালগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুরুজ মিয়া, নড়াইলের পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, কালনা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শ্যামল কুমার, প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমানসহ অনেকে।

নদীর নড়াইলেসড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্বাবধানে নড়াইলসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের কালনা সেতুর নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ওপর দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি হবে ছয় লেনের। বাংলাদেশের মধ্যে এটি প্রথম ভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন ও ব্যতিক্রমী একটি সেতু। সেতুর নির্মানকাজ সম্পন্ন হলে ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দূরত্ব অনেক কমে যাবে, দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবসহ স্বপ্নপূরণ হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের। স্থাপিত হবে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-(পদ্মাসেতু হয়ে)-ঢাকা আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতী নদীর ওপর নির্মানাধীন দৃষ্টিনন্দন কালনা সেতুটি ছয় লেনের। কালনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার এবং উভয় পাশে সংযোগ সড়ক হবে ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। এ সেতুর নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৯ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড ঠিকাদার হিসেবে যৌথভাবে এ সেতুর নির্মান কাজ করছে।