ঝিকরগাছায় স্কুল-মাদ্রাসার পাশে ইট ভাটা নির্মাণের প্রতিবাদ

    0
    448

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬অক্টোবর,বেনাপোল প্রতিনিধি   বিদ্যমান আইনকে পাশ কাটিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ঝিকরগাছায় ‘মেসার্স হীরা ব্রিকস্’ নামে একটি ইটের ভাটা নির্মাণ করছেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। নির্মাণাধীন ভাটার পাশেই দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুইটি মসজিদ রয়েছে। এজন্য স্থানীয়রা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ইট ভাটাটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে যশোর জেলা প্রশাসন ও ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে দুইটি লিখিত আবেদন করেছেন।
    পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটি ইট ভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করার আগেই পরিবশে অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। এজন্য নির্ধারিত জমির পর্চা, স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুমতিপত্র, কৃষি অফিসের প্রত্যায়নসহ আবেদন করতে হয়। আবেদন পাওয়ার পর সরেজমিন যাচাই করে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ না হলে এবং স্থানীয় জনগনের বসবাসের সমস্যা না হলেই ছাত্রপত্র দেওয়া হয়। তবে নির্মাণাধীন ‘মেসার্স হীরা ব্রিকস্’র জন্য পরিবেশের কোন ছাত্রপত্রের আবেদনই করা হয়নি।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘মেসার্স হীরা ব্রিকস্। কিন্তু নির্মাণাধীন ইট ভাটার পাশেই রয়েছে কুন্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আরএকে আলিম মাদ্রাসা। এছাড়াও রয়েছে দুইটি মসজিদ। ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইট ভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে ইট ভাটার। এজন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্থানীয়রা পৃথক দুটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
    নির্মাণাধীন ‘মেসার্স হীরা ব্রিকস্’র মালিক রফিকুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন না নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এছাড়া জেলা প্রশাসকের আছে একটি আবেদন করেছি।’
    এ ব্যাপরে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইট ভাটাসহ কোন শিল্প কারখানা নির্মাণের আগেই অবস্থানগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এরপর পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্তু কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইট ভাটা নির্মাণের সুযোগ নেই। মেসার্স হীরা ব্রিকস্ নামে কোন ভাটা নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করা হয়নি। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’